ঘুণ ধরা সমাজের গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে
RBN Web Desk: অপু নামটির সঙ্গে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া চিরকালের। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইয়ের পাতা থেকে সেলুলয়েডে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল অপু। কল্পনাশক্তির ডানায় ভর করে চিরদারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধে জীবন বিমুখ না হয়ে যে বলেছিল ‘বাঁচার মধ্যেই সার্থকতা, তার মধ্যেই আনন্দ’, সে অপরাজিত অপু অর্থাৎ অপূর্ব রায়। তবে এবার বাংলা টেলিভিশেনর পর্দায় শুরু হচ্ছে এক নতুন অপুর অপরাজিতা হয়ে ওঠার গল্প। সমাজের বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’।
পড়াশোনা করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা ও অধিকার কেবলমাত্র ছেলেদেরই আছে এমন ধারণায় বিশ্বাসী অপুর বাবা। মেয়ে মাত্রই সংসারের হাল ধরবে ও বিয়ে করে সংসারী হবে। কিন্তু অপু নামের প্রাণোচ্ছল মেয়েটির স্বপ্ন বড় হওয়ার। শিক্ষার মাধ্যমে সে সমাজের গোঁড়ামি, কুসংস্কার ভেঙে দিতে চায় সে। তাই দিদি সুপর্ণার বিয়েতে পাত্রপক্ষ পণের দাবি জানালে পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিনা পণেই সে দিদির বিয়ে দেয়। এরপর অপুর জীবনে আসে দিপু। সে সম্পর্কে অপুর জামাইবাবু দ্বৈপায়নের ভাই। চাকুরিরতা বউ পছন্দ করেন না দিপুর মা। অপু আর দিপুর সম্পর্ক কি আদৌ পরিণতি পাবে? অপু কি সমাজ-সংসারের সব বাধা পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে?
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
সুশান্ত দাসের পরিচালনায় শুরু হচ্ছে এই ধারাবাহিক। এর আগে ‘কৃষ্ণকলি’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক পরিচালনা করেছেন সুশান্ত। এবার অপুর চরিত্রের জন্য এক নতুন মুখ বেছে নিয়েছন তিনি। অপুর চরিত্রে অভিনয় করছে সুস্মিতা দে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গ্ল্যামার দুনিয়ায় পরিচিতি পান সুস্মিতা। মডেল হিসেবে বেশ কয়েকটি কাজ করলেও টেলিভিশনের পর্দায় নায়িকা হিসাবে অভিনয়জীবন শুরু করতে চলেছেন তিনি। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রোহন ভট্টাচার্য, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈবাল ভট্টাচার্য, সোমা চক্রবর্তী, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্জীব সরকার।
৩০ নভেম্বর থেকে রাত ৮.৩০টায় জ়ি বাংলার দেখা যাবে ‘অপরাজিতা অপু’।