রামমোহনকে ‘ব্রিটিশদের চামচা’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভের মুখে অভিনেত্রী
RBN Web Desk: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়কে ‘ব্রিটিশদের চামচা’ বলে উল্লেখ করে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হিন্দী ছবির অভিনেত্রী পায়েল রোহাতগি। আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে সতীদাহ প্রথাকে মহান বলে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি লেখেন, “হিন্দু ধর্মকে আঘাত করার জন্যই ব্রিটিশরা রামমোহন রায়কে ব্যবহার করেছিল। তিনি আসলে ব্রিটিশদের চামচা ছিলেন। হিন্দু ধর্মের মহান প্রথা সহমরণ। সতীদাহ কখনওই জোর করে হিন্দু বিধবাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। মুঘল শাসকদের হাতে নিজেদের সন্মান নষ্ট হতে দেবেন না বলেই বিধবারা স্বেচ্ছায় সহমরণে যেতেন।”
রামমোহনের বিরুদ্ধে ও সতীদাহর সমর্থনে পায়েলের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রীতিশ নন্দী টুইট করে বলেন, “মহান সমাজ সংস্কারক রামমোহন রায়কে ব্রিটিশের চামচা বলা হচ্ছে। ভারতের ইতিহাস আবার নতুন করে লেখা হোক।”
৫ কোটিরও বেশি বকেয়া, ক্ষতিগ্রস্ত শিশুশিল্পীরাও, গণ আন্দোলনে যেতে পারে ফোরাম
সনাতন হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য রামমোহনের লড়াই সর্বজনবিদিত। মৃত্যুর ১৮৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর বিরুদ্ধে পায়েলের এহেন মূল্যায়নে মানুষ ক্ষুব্ধ। বহু মানুষ তাদের ক্ষোভ উগরে দেন টুইটারে। কেউ লিখেছেন, “ভারতের সবচেয়ে নিষ্ঠুর সামাজিক প্রথা ছিল সতীদাহ, যাকে রামমোহন নির্মূল করেছিলেন। বাংলার মহান সমাজ সংস্কারকের অপমানের তীব্র নিন্দা করছি।” আরেকজনের বক্তব্য, “একমাত্র ভারতেই এই চরম বর্বর প্রথাকে সমর্থন দেওয়া হয়।”
কেউ এমনও বলেছেন যে বাক স্বাধীনতা থাকার মানে এই নয় যে যা খুশি বলা যায়। নারীর মুক্তির জন্য যিনি লড়াই করলেন তাঁকে কিভাবে অপমান করা যেতে পারে? কেউ কেউ পায়েলকে ঠিক করে ইতিহাস পড়ে আসার পরামর্শও দিয়েছেন।