প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে: পরমব্রত
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির পর্যাপ্ত শো পাওয়া এক “চিরন্তন লড়াই” বলে মনে করেন অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরমব্রত পরিচালিত, কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘অভিযান’ মুক্তি পেয়েছে গতকাল। দক্ষিণ কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে সেই ছবির প্রিমিয়রে পরমব্রতর উপলব্ধি, “প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে।”
মুক্তির দিন কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে ২৮টি শো পেয়েছে ‘অভিযান’। সেখানে ২৫ মার্চ মুক্তির দিনে, শুধুমাত্র কলকাতায় দক্ষিণী ছবি ‘আরআরআর’-এর শো সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০। তারকাসমৃদ্ধ ছবি হয়েও ‘অভিযান’ পর্যাপ্ত শো পেল না কেন?
আরও পড়ুন: কলকাতায় শ্যুটিং সারলেন পরেশ রাওয়াল, সত্যজিৎ রায়ের গল্প?
“শো পাওয়ার ক্ষেত্রে ছবিতে কতজন তারকা রয়েছেন সেটা এখানে বিবেচ্য নয়,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন পরমব্রত। “পুরোটাই নির্ভর করে হিন্দি বা দক্ষিণী ছবির পেশিশক্তির ওপর। আমরা কেউ এ রাজ্যে অন্য ভাষার ছবি দেখানোর বিরোধী নই। আমি নিজে একাধিক হিন্দি ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু স্থানীয় ভাষার ছবিকে অন্তত তার রাজ্যে তো অগ্রাধিকার দিতেই হবে।”
গত বছর মহারাষ্ট্র সরকার সে রাজ্যে সব মাল্টিপ্লেক্সে প্রাইম টাইমে মারাঠী ছবি দেখানো বাধ্যতামূলক করার এক প্রস্তাব গ্রহণ করে। সে সংক্রান্ত কোনও আইন এখনও পর্যন্ত চালু না হলেও মুম্বই ও অন্যান্য শহরের বহু প্রেক্ষাগৃহে প্রাইম টাইমে মারাঠী ছবি দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। ২০১৮ সালে সেই আইন সংশোধন করে এক নতুন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রেক্ষাগৃহে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে, বছরে অন্তত ১২০ দিন ন্যূনতম একটি শো-এ বাংলা ছবির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোন প্রেক্ষাগৃহে ক’টা বাংলা ছবি প্রদর্শিত হয়েছে, তা হলমালিকদের কাছে ইতিমধ্যেই জানতে চেয়েছে নবান্ন।
তবে শো সংখ্যার ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে অন্য ভাষার ছবির সমতা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন পরমব্রত। “কোনও না কোনও পদক্ষেপ তো নিতেই হবে। সরকার পক্ষের সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা চলছে,” জানালেন তিনি।
ছবি: গার্গী মজুমদার