পড়ছে রেটিং, দশম স্থানে দেশনায়কের গল্প
RBN Web Desk: তিন, পাঁচ, আট। আর এই সপ্তাহে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের আরবান ১৫+ তালিকায় একেবারে দশম স্থানে দেশনায়কের গল্প নেতাজি। প্রথম স্থানে সেই কৃষ্ণকলি।
কিন্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে যেখানে বাঙালির প্রবল উন্মাদনা, সেখানে তাঁর জীবনীধর্মী ধারাবাহিকের রেটিং নিম্নগামী কেন?
নীরবে চলে গেলেন সত্যজিতের মণিমালিকা, বিস্মৃতই রইল বাঙালি
টেলিভিশন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মেগা-ধারাবাহিকগুলির মূল চালিকাশক্তিই হল চমক। যে গল্পে যত বেশি চমক, সেই ধারাবাহিকের ভালো রেটিং পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে প্রতি সপ্তাহেই প্রায় সব ধারাবাহিকেই শুরু হচ্ছে কোনও নতুন ট্র্যাক। কিন্তু সুভাষচন্দ্রের জীবনী নির্ভর ধারাবাহিকে নতুন ট্র্যাক ঢোকানো কার্যত অসম্ভব। নেতাজির জীবনী প্রায় প্রত্যেকটি বাঙালির জানা। তাই একই জিনিস আবার নতুন করে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না দর্শক। বরং নেতাজির অন্তর্ধান সংক্রান্ত কোনও কাহিনী হলে দর্শকের আগ্রহ থাকত অনেক বেশি, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফোন ধরার সাহসটুকুও দেখালেন না কেউ, ক্ষোভ কৌশিকের
উল্লেখ্য, টিআরপি ধরে রাখার উদ্দেশ্যে, দেবী চৌধুরানী ধারাবাহিকে সুদীপা বসুকে দেখা যাচ্ছে গোবরার মায়ের চরিত্রে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাসে এই চরিত্রটি ছিল না। এটি বঙ্কিমের অন্য উপন্যাস আনন্দ মঠের শান্তা চরিত্রটি থেকে অনুপ্রাণিত। সাহিত্য নির্ভর ধারাবাহিকে এটা সম্ভব হলেও, সুভাষচন্দ্রের জীবন নিয়ে কোনও গল্পে তা একেবারেই সম্ভব নয়। অতএব, পড়তি রেটিং।
এ সপ্তাহের আরবান ১৫+ তালিকায় প্রথম ১০টি ধারাবাহিক এরকম।
১. কৃষ্ণকলি (১১.২)