যে আগুন নেভে না
পুরাণ মতে কাশী বা বারাণসী হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম শহর। কথিত আছে দেবাদিদেব শিব এই শহরের পত্তন করেছিলেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পঞ্চপান্ডব কর্তৃক কুরুবংশ ধ্বংস হয়, ব্রহ্মহত্যার মতো মহাপাপ ঘটে। সেই পাপ থেকে উদ্ধার পেতে মহাদেবের দর্শনলাভের আশায় পাণ্ডবরা বারাণসী এসে পৌঁছন। শাস্ত্রমতে কাশী বা বারাণসী হলো সেই সাতটি শহরের শ্রেষ্ঠতম শহর যেখানে গেলে মোক্ষলাভ ঘটে।
Image: Subhanjan Bhaumik
ভারতবর্ষের অন্য সমস্ত শহরের তুলনায় বারাণসীর গুরুত্ব কোথায় যেন একেবারে আলাদা। ঐতিহ্য ও ধর্মীয় আচার ব্যবহারের মেলবন্ধন বারাণসীকে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। বিশ্বনাথের মহাতীর্থ, পুণ্যতোয়া গঙ্গার উপস্থিতি, মনিকর্ণিকার মাহাত্ম্য, অঘোরী সাধুদের অবাধ বিচরণস্থল, সব মিলিয়ে বারাণসী আজও বিশ্বাস ও বিস্ময়ের সংযোগস্থল রূপে প্রসিদ্ধ। যার ফলে বহু নির্জনতাপ্রিয় পর্যটকও এই শহরের কোলাহলমুখর রূপকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
ঐতিহ্যের পুজো: সাবর্ণ রায়চৌধুরী
বারাণসীর দক্ষিণে অস্যি নদী গঙ্গায় এসে মিশেছে। দক্ষিণে অস্যিঘাট থেকে শুরু করে উত্তরে রাজঘাট পর্যন্ত প্রায় একশোটির মতো ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় পঁচিশটি ঘাট সুপ্রসিদ্ধ। জলপথে ঘাট পরিদর্শনের জন্য সাধারণত দশাশ্বমেধ ঘাট থেকে হরিশ্চন্দ্র ঘাটকে বেছে নেওয়া হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দশাশ্বমেধ ঘাটের গঙ্গারতি বারাণসীর অন্যতম দ্রষ্টব্য বিষয়। উল্লেখযোগ্য ঘাটগুলি হলো অস্যি ঘাট, হরিশ্চন্দ্র ঘাট, কেদার ঘাট, তুলসী ঘাট, সিন্ধিয়া ঘাট, দ্বারভাঙ্গা ঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, প্রয়াগ ঘাট, মানমন্দির ঘাট, মুন্সী ঘাট, এবং মনিকর্ণিকা।
Image: Subhanjan Bhaumik
কাশী পুণ্যকামী হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্র। কথাতেই আছে ‘বার্ধক্যের বারাণসী’। হিন্দুশাস্ত্র ও পুরাণ অনুযায়ী, কাশীতে মৃত্যু ঘটলে আর পুনর্জন্মের আশঙ্কা থাকে না, কাঙ্খিত মোক্ষলাভ ঘটে। বলা হয়, মনিকর্ণিকা ঘাটে মৃতদেহ সৎকার করলে সেই মৃত আত্মার স্বর্গলাভ অবধারিত। তাই এখানে আত্মীয়ের মৃতদেহ দাহ করার জন্য বহু দূর থেকে ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা আসেন। কথিত আছে, এখানে মহাদেব নিজের কর্ণকুন্ডল হারিয়ে আর খুঁজে পাননি। সেখান থেকেই এই ঘাটের নামকরণ হয়।
ঐতিহ্যের পুজো: ছাতুবাবু-লাটুবাবু
কিংবদন্তি বলে মনিকর্ণিকার চিতার আগুন কখনও নেভে না। বাস্তবিকই প্রতিদিন এত মৃতদেহ আসে যে কোনও সময়েই এখানে শবদাহ বন্ধ হয়না। গভীর রাতে বহুদূর থেকে মনিকর্ণিকার আগুনের শিখা দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রায় দুশো থেকে তিনশো মৃতদেহ আসে সৎকারের জন্য। ঘাটের সিঁড়িতে সার দিয়ে শোয়ানো থাকে মৃতদেহগুলি। একের পর এক মৃতদেহ দাহ হতে থাকে সাবেকি কাঠের চুল্লিতে। দক্ষিণে হরিশচন্দ্র ঘাটে ইলেকট্রিক চুল্লিতে অনেক কম খরচে সৎকারের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে খুব কম লোককেই যেতে দেখা যায়। কারন ওই স্বর্গলাভের আকর্ষণ। সমস্ত জীবনের পাপস্খলন হয় মনিকর্ণিকায় দাহ করতে পারলে।
Image: bammraw.com
ঘাটের সিঁড়িতে মৃতদেহগুলিকে শোয়ানো হয় যাতে গঙ্গার স্পর্শে মৃত আত্মার স্বর্গারোহনের পথ আরও প্রশস্ত হয়। এরপর চলে কাঠের দরদাম। মনিকর্ণিকায় পৌঁছলে দেখা যায় সারি দিয়ে প্রচুর কাঠ রাখা রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রত্যেক ধরণের কাঠের আলাদা নাম ও দাম আছে। এর মধ্যে চন্দন কাঠের দাম স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশী। প্রচুর মৃতদেহ আসার কারণে এখানে অপেক্ষা অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে যখন সৎকারের ডাক আসে তখন মৃতদেহকে গঙ্গায় স্পর্শ করিয়ে আনা হয়। তারপর শুরু হয় দাহকার্য। প্রথমে কাঠের ওপর কাঠ সাজিয়ে চিতা তৈরি হয়। তার ওপর শোয়ানো হয় মৃত ব্যক্তিকে। তারপর আরও কাঠ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় মৃতের শরীর। এরপর মুখাগ্নি ও মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে সৎকার শুরু হয়। যেহেতু কাঠের চুল্লিতে দাহ করা হয় তাই প্রবল গরমে মৃতদেহের নানান বিকৃতি এখানে সর্বসমক্ষে দেখা যায়। দাহ হয়ে যাবার পর মৃতের মাথার খুলি বাঁশের আঘাতে ফাটিয়ে ফেলাই নিয়ম। সে দৃশ্য অতীব নির্মম হলেও যে কোনও শ্মশানে নিত্যদিনের ঘটনা।
ঐতিহ্যের পুজো: লাহাবাড়ি
সবচেয়ে আশ্চর্য হলো মনিকর্ণিকা শ্মশানটি সম্পূর্ণ অনাবৃত। গঙ্গার বুকে নৌকা বা বজরায় ঘাট পরিদর্শন করার সময় একসঙ্গে সারি সারি চিতায় মৃতদেহ সৎকারের দৃশ্য, আর যাই হোক, ভক্তি উদ্রেক করে না। সৎকার, নির্বিকার ডোমদের লাঠি হাতে চিতায় আঘাত, মৃতের পরিবারের লোকজনের শোকপালন, ঘাটের ধারে সৎকারজনিত আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধ, কুকুরের আনাগোনা ও সর্বোপরি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, এই সব মিলিয়ে এক অস্বাভাবিক মনোভাবের সৃষ্টি করে। সঙ্গত কারণেই মনিকর্ণিকা ঘাটের ছবি তুলতে দেওয়া হয় না। তবে ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে অনেকেই ছবি তোলেন।
Image: Al Jazeera
অনেক সময়ই সৎকার শেষ হবার আগেই অর্ধগলিত শব বা মৃতদেহের অংশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। যেসব ক্ষেত্রে মৃতের পরিবারের লোকজন হয়তো বহুদূর থেকে এসেছেন সেখানে তারা সম্পূর্ণ দাহকার্য দেখে যেতে পারেন না। এই প্রক্রিয়া বহুবছর ধরে চলে আসছে বারাণসীতে। সাম্প্রতিককালে কিছু বাঙালি সংগঠন এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। দুর্গাপূজা বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর কাশী প্রায় কয়েক লাখ বাঙালির বাসস্থান। গঙ্গায় দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে গঙ্গাদূষণ কমিটি গঠন হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তাদের বক্তব্য দুর্গা প্রতিমায় ব্যবহৃত রঙে মেশানো রাসায়নিক গঙ্গার জলকে দূষিত করছে। কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু চিরাচরিত সংস্কার এখানেও বাধা পায়। গঙ্গায় নিরঞ্জনকে বহু প্রাচীন ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। বাঙালি সংগঠনগুলির দাবি, তাহলে গঙ্গায় অর্ধগলিত শবদেহ ভাসিয়ে দেওয়ায় বাধা দেওয়া হবে না কেন? প্রতিমার রঙে কি এমন ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকতে পারে যা পচনশীল মৃতদেহের থেকেও দূষণ সৃষ্টিকারী? বলা বাহুল্য বিষয়টি বিতর্কিত।
ঐতিহ্যের পুজো: শীলবাড়ি
মনিকর্ণিকা ঘাটের অর্ধদগ্ধ শবদেহের প্রসঙ্গ থেকে অবধারিত ভাবে অঘোরী সাধুদের কথাও উঠে আসে। বারাণসী অঘোরী সাধুদের সবচেয়ে বড় বিচরণক্ষেত্র। সপ্তদশ শতাব্দীর সাধু কিনারাম অঘোরী তন্ত্রবিদ্যার জনক। তিনি বারাণসীতেই তাঁর আশ্রম স্থাপন করে মোক্ষলাভ করেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অঘোরী সাধুরা বারাণসীকেই তাঁদের সাধনার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর প্রধান কারণ কিন্তু মনিকর্ণিকা শ্মশান। অঘোরীদের জীবনযাত্রা সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। এরা দল বেঁধে থাকেন না। ভিড় থেকে দূরে একা থেকে সাধনা করাই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য। অঘোরীরা শিবের রুদ্ররূপের পূজারী। শিব যে রূপে প্রলয় আনেন সেই রূপকেই পূজা করেন অঘোরীরা।
Image: ostinellicristiano.com
শক্তির আরাধনায় নিমগ্ন অঘোরীদের জীবনযাত্রা সাধারনের চোখে অতীব ভয়াবহ। চিতা থেকে নরমাংস তুলে খাওয়া, নদীতে ভেসে আসা অর্ধগলিত মৃতদেহ ভক্ষণ, নিজের মূত্র পান করা, মৃত পশুর মাংস খাওয়া এসবই অঘোরীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মধ্যে পড়ে। ঘৃণার উদ্রেক করলেও আসলে এর পিছনে রয়েছে ইন্দ্রিয়জয়ের প্রাচীন আকাঙ্খা। এমন অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাসের মূল কারণ হলো ইন্দ্রিয়কে জয় করা ও স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলোর উর্দ্ধে উঠে শিবসাধনা। খাদ্য নিয়ে কোনওরকম বাছবিচার না করাটাই অঘোরীদের নিয়ম। কঠিন দৈনন্দিন অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে মোক্ষলাভ এঁদের সাধনার উদ্দেশ্য। নিয়মিত শবসাধনা ও শবদেহের সঙ্গে মৈথুনও এদের সাধনার অন্যতম অঙ্গ। সাধারণত একটি সম্পূর্ণ শবদেহকে মন্ত্রপুত করে তার উপরে পদ্মাসনে বসে এই সাধনা হয়ে থাকে। অঘোরী সাধনার মূল উদ্দেশ্য হলো মানবজীবনচক্র থেকে মুক্তিলাভ যা ভারতীয় আধ্যাত্মবাদের একেবারে গোড়ার কথা। তবে সেই মুক্তিলাভের সবথেকে কঠিন পথ বোধহয় এরা বেছে নেন। অঘোরীদের বেশভূষাও সাধারণের থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখে। কালো বা রক্তবর্ণ নামমাত্র পোশাক বা কৌপিন অথবা অনেকক্ষেত্রে বস্ত্রহীনভাবেও এরা জীবনধারণ করেন। মৃতদেহের হাড় দিয়ে তৈরি গয়না থাকে এদের সর্বাঙ্গে। সঙ্গে নর-কপাল বা মড়ার মাথার খুলির উপরিভাগ এদের নিত্যসঙ্গী। এই করোটি তাদের পানপাত্র ও সাধনার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কঠিন জীবনযাত্রার কারণেই হোক বা স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই হোক, এরা প্রায় সবসময়েই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকেন। মদ ও গাঁজা এদের সাধনার প্রসাদরূপে বিবেচিত হয়। মধ্যরাতের পরে মনিকর্ণিকা অঘোরী সাধুদের বিচরণভূমি হয়ে ওঠে। এদের বাদ দিয়ে মনিকর্ণিকা অসম্পূর্ণ।
Image: hiveminer.com
মনিকর্ণিকার কথা উঠলে বছরের একটি বিশেষ দিনের কথা বলতেই হয়। প্রতি চৈত্র নবরাত্রির সপ্তমী তিথিতে এই প্রথা পালিত হয়। নাচগানের আসর বসে মনিকর্ণিকা শ্মশানঘাটে। আর এই নাচগান পরিবেশন করেন শহরের বারবনিতারা। বছরের এই একটি দিন নগরবধূরা শ্মশানে এসে চিতার সামনে সারারাত চটুল নাচগান প্রদর্শন করেন। কোনও নতুন সংযোজন নয়, এই প্রথা প্রায় শতাধিক বছর ধরে চলে আসছে। রাজা মানসিংহের সময় থেকে শুরু। নানা গল্প আছে এই প্রথাকে ঘিরে। এই বিশেষ দিনে বারবধূদের মা সরস্বতীর বরপুত্রী বলে মনে করা হয়। বলা হয় চৈত্র নবরাত্রিতে এখানে নৃত্য প্রদর্শন করলে বেশ্যাবৃত্তি থেকে জন্ম জন্মান্তরের মতো মুক্তি ঘটে। সেই বিশ্বাস সম্বল করে আজও ধুমধাম করে এই প্রথা পালিত হয়। বহুদূর থেকে দর্শকরা আসেন এই অনুষ্ঠান দেখতে।
ঐতিহ্যের পুজো: রানী রাসমণি
স্বভাবতই এত বিচিত্র কর্মকান্ড মনিকর্ণিকাকে বরাবরই যেন এক রহস্যের জালে জড়িয়ে রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এই প্রাচীন মহাশ্মশানকে এক প্রতিকূল অবস্থার মাঝে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি সরকারের নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত থাবা বসিয়েছে এতদিনের বাঁচিয়ে রাখা সংস্কারের ওপরেও। যে সংস্কারের বশবর্তী হয়ে অনেক বেশী টাকা খরচ করেও মানুষ এখানেই আসতেন সৎকারের জন্য, এখন নোটবাতিলের কারনে তাঁরাই একান্ত নিরুপায় হয়ে হরিশ্চন্দ্র ঘাটে কম খরচে ইলেকট্রিক চুল্লিতে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কাঠের খরচ, ডোমবাবদ খরচ সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয় মনিকর্ণিকায় সৎকার করতে। নোটবাতিলের এই চরম দুর্দিনে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেই টাকা জোগাড় করা দুরূহ হয়ে উঠছে। বাধ্য হয়ে তাঁরা অন্য শ্মশানে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। উপায়ান্তর না দেখে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মনিকর্ণিকার ডোমেরা ধারবাকিতে পর্যন্ত কাজ করছেন। যেখানে আগে দিনে দুশোর ওপর মৃতদেহ আসতো, এখন সেই সংখ্যা কমে চল্লিশ পঞ্চাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মনিকর্ণিকাকে ঘিরে জীবনধারণ করা সম্প্রদায়ের পক্ষে বিষয়টা আশঙ্কাজনকও। যদিও তাঁরা আশাবাদী যে এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। যে আগুন যুগ যুগ ধরে একটানা জ্বলে এসেছে তা এত সামান্য কারনে নিভে যেতে পারেনা। তাদের বিশ্বাস আগামীদিনেও মনিকর্ণিকার চিতার শিখা একইভাবে জ্বলতে থাকবে।
ভীষণ ভাল লাগলো। সমৃদ্ধ হলাম।
Khub sundor likhechhish.
খুব ভালো লাগলো।
খুব ভাল লেখা। অনেক অজানা তথ্য পেলাম। আরো লেখা পড়তে চাই।
অসামান্যি…
Well written article with full of information. Really liked it
Opurbo likhechish Didi !!! Onek gobheere jante parlaam.
Manikarnikar agnishikhar moto tor lekhar aagun o konodin jano na nebhe
Neat and lean writing with Substantial elements…
Nice one..