চমকের লড়াই, ১০ টন রূপোর রথে দেবী দুর্গা
কলকাতা: চমক, আরও চমক, আরও বড় চমক। শহরের থিম পুজোর এখন এটাই দস্তুর। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা। পুরস্কার ছিনিয়ে আনার ইঁদুর দৌড়। তাই অভিনবত্ব আনতে কোনও কসুরই বাকি রাখছেন না পুজো উদ্যোক্তারা।
গতবছর দেবী দুর্গা-কে ২৪ কেজি ওজনের সোনার শাড়ি পড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্ক যা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার নামেও পরিচিত। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০ টন রূপোর রথে দেবীকে ধরাধামে নামিয়ে অকাল বোধন করতে চলেছেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। খরচ আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা।
যে জন থাকে মাঝখানে
সম্পাদক সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বললেন, “শুধু কলকাতা বা ভারতবর্ষই নয়, আমাদের পুজোর কথা ছড়িয়ে পড়বে গোটা বিশ্বে।”
তবে রূপোর তৈরি রথই একমাত্র আকর্ষণ নয়, মণ্ডপের গায়ে থাকবে সোনার কাজও। শহরের এক নামী গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার সাথে গাঁটছাড়া বেঁধেছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপের উচ্চতা ৬০ ফুট, আয়তন আনুমানিক ১৬০০ বর্গফুট।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
কিন্তু এত খরচ কতটা যুক্তিসঙ্গত?
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ ঘোষের দাবী, “তিরাশি বছরে পদার্পণ করল আমাদের পুজো। দেবীর আরাধনায় খরচ কখনওই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। বাজেট করে কোনওদিনই পুজো করিনি আমরা। খরচ যা লাগে, তা করা হবে। পুজোটা সুষ্ঠুভাবে হল কি না, সেটাই আসল কথা।”
তাশি গাঁওয়ে একদিন
প্রদীপবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, তার পুত্র সজল অনেক ছোটবেলা থেকেই রথের আদলে মণ্ডপ তৈরি করার দাবী জানিয়ে আসছিল। এবারের মণ্ডপ তাই তার ছেলের ইচ্ছাপূরণও বটে, বললেন তিনি।
এবারও ভিড়ের তালিকায় এক নম্বরেই থাকার লক্ষ্য সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের। “কেউ আমাদের এই জায়গা থেকে সরাতে পারবে না,” বললেন আত্মবিশ্বাসী প্রদীপবাবু।