আমার নিজের একটা গন্ডি আছে: মমতা শংকর
RBN Web Desk: চার দশকেরও বেশি অভিনয় জীবনে কাজ করেছেন বাংলা ছবির প্রায় সব প্রথম সারির পরিচালকদের সঙ্গে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তেমনই রয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের ঋতুপর্ণ ঘোষ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম ভট্টাচার্যরা। এহেন মমতা শংকরের দাবী, বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করলেও, নিজের গন্ডির বাইরে গিয়ে কিছু করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
সম্প্রতি রেডিওবাংলানেট-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় মমতা শংকর জানালেন, “আমি তো কোনওদিন প্রচুর ছবি করিনি। একই সময়ে একটাই ছবি করেছি। আমার যেহেতু অন্য একটা জগৎ আছে, তাই সেখানেও আমাকে অনেকটা সময় দিতে হয়। নাচ এবং অভিনয় এই দুটোকেই আমি নিজের পেশা হিসেবে দেখে এসেছি। তবে আমাকে দু’তরফেই এমনটা শুনতে হয় যে আমি নাকি পুরোপুরি নাচের বা অভিনয়ের লোক নই। কোনও একটায় থেকে যাইনি বলেই হয়ত আমাকে নিয়ে এরকম একটা অভিযোগ ওঠে।”
ইদানিং বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কেমন লাগে নিজের ইমেজ ভেঙে বেরোতে? “এখন যে সব চরিত্র পাই এগুলো সত্যি আগে কখনও করব বলে ভাবিনি। অরিন্দমের ‘অন্তর্লীন’ বা ‘ফ্ল্যাট নং 609’ কিংবা সৃজিতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে যে ধরণের কাজ করেছি সেরকম চরিত্রে আমাকে মানাতে পারে সেটা অনেকেই আগে ভাবেনি। এই ছবিগুলো করে আমি নিজে খুব আনন্দ পেয়েছি,” জানালেন মমতা শংকর।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
অন্যরকম লুক বা ইমেজে নিজেকে দেখতে তাঁর কোনও অপত্তি নেই বলে জানালেন মমতা শংকর। দর্শকদের ভালো লাগাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। “তবে কী জানো, আমি মনে করি আমার একটা গন্ডি আছে। তার বাইরে আমাকে মানায় না। এটা আমি ছবির ক্ষেত্রেও মেনে চলি। নিজেকে কোথায় মানাবে এটা বোঝা খুব জরুরী। সৃজিতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে মিসেস সরকারের চরিত্রটা শুনে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। ও যে সেই চরিত্রে আমাকে ভেবেছে সেটা আমাকে খুব অবাক করেছিল। তবে আমি ওকে এটাও বলে দিয়েছিলাম যে এই অবধি ঠিক আছে, এর বেশি কিছু করতে আমি অভ্যস্ত নই। সৃজিত সেটা বুঝে খুব সুন্দরভাবে দৃশ্যটা সাজিয়েছিল। অরিন্দমও নানারকম নতুন চরিত্রে আমাকে ভাবে। এগুলো আমার কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। না হলে চিরকালই তো সেই শাড়ি আর এলো খোঁপা ছাড়া আমাকে কেউ কখনও দেখেনি। তাই নতুন ধরণের চরিত্র এলে করতে ভালো লাগে। তবে সেটা অবশ্যই সেই গন্ডির মধ্যে থেকে,” বললেন ‘শাখা প্রশাখা’র তপতী।
ছবি: অর্ক গোস্বামী