সম্মাননায় ‘সত্যজিতের শিল্পীরা’, শেষ হলো চলচ্চিত্র উৎসব
কলকাতা: দেশ-বিদেশের ১৬৩টি ছবির প্রদর্শন, শতবর্ষ উদযাপন, সিনে আড্ডা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শেষদিন ‘সত্যজিতের শিল্পীরা’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছিলেন বরুণ চন্দ, মনোজ মিত্র, রঞ্জিত মল্লিক, মমতা শঙ্কর, সুবীর বন্দোপাধ্যায়, কুশল চক্রবর্তী, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, চন্দনা বন্দোপাধ্যায়, অনুপ মুখোপাধ্যায়, অনিল ঘোষ, তারাপদ বন্দোপাধ্যায় ও হীরক সেন। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ রায় ও রাজ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অরিন্দম শীল ও গৌতম ভট্টাচার্য।
প্রত্যেক শিল্পীকে উত্তরীয় দিয়ে সন্মাননা জ্ঞাপনের পর শুরু হলো স্মৃতিচারণ। সত্যজিতের বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করার স্মৃতি তুলে ধরলেন তাঁর ছবির অপু, রতন, শ্যামলেন্দু, ডিংগো, প্রতাপরা। কুশলের স্মৃতিতে বেশি করে উঠে এল জয়সলমেরের কথা। আজও সেখানে ‘মুকুল’কে পেলে আপ্লুত হয়ে ওঠেন মানুষজন। সিদ্ধার্থও জানালেন রাজস্থান ভ্রমণে সত্যজিতকে ফিরে পাওয়ার গল্প। অন্যরা সকলেই শোনালেন শ্যুটিংয়ের গল্প।
আরও পড়ুন: অলৌকিক, না বিক্রমের অতীত?
শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যাঁরা সত্যজিতের একটিমাত্র ছবিতে কাজ করেছেন। আবার অনেকে তাঁর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি মাধবী মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অলকানন্দা রায়, ভিক্টর বন্দোপাধ্যায় ও মলয় রায়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের চলচ্চিত্র উৎসব। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, উৎসবের চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: গড়ে তোলা হবে সিনে মিউজ়িয়ম, ঘোষণা মমতার
শ্রেষ্ঠ কাহিনীচিত্রের জন্য পুরস্কৃত হলো ঈশান ঘোষের ‘ঝিল্লি’। গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পুরস্কারে সন্মানিত হলেন তরুণ পরিচালক। ‘মানিকবাবুর মেঘ’ ছবির জন্য সেরা ছবির নেটপ্যাক পুরষ্কার এশিয়ান সিলেক্ট পেলেন অভিনন্দন বন্দোপাধ্যায়। ভারতীয় ভাষার ছবির জন্য বিশেষ জুরি পুরষ্কার পেল ‘প্রাপ্তি’। ভারতীয় ভাষার ছবি বিভাগে ‘আদিউ গদার’ শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জিতে নিল হীরালাল সেন স্মারক পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হয় ইশরাত আরা খানকে, তাঁর ‘গুঠলি কা লাড্ডু’ ছবির জন্য।