‘দেবদাস’ শরৎচন্দ্রের বেশ দুর্বল উপন্যাস, মত অনুরাগের
কলকাতা: কোনও অভিনেতাকে তাঁর ছবিতে নেওয়ার সময় অভিনয় নয়, বরং ব্যক্তিগত পরিচয়কে প্রাধান্য দেন তিনি। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে নিজের ছবি নির্মাণ প্রসঙ্গে এ কথা বললেন পরিচালক অনুরাগ কশ্যপ। এ বছর উৎসবে তাঁর ছবি ‘কেনেডি’ প্রদর্শিত হলো। সেই সূত্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুরাগ ও তাঁর অগ্রজপ্রতিম পরিচালক সুধীর মিশ্র।
নিজের তৈরি ছবি প্রসঙ্গে নানা কথা উঠে এলো অনুরাগের কথায়। “‘দেবদাস’ থেকে আমি ‘দেব ডি’ করেছিলাম। তবে ‘দেবদাস’কে আমার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বেশ দুর্বল উপন্যাস মনে হয়েছে। ছোটদের হয়ত ভালো লাগবে। আমি ছবি করার সময় অন্যভাবে এইজন্যই করি কারণ একই গল্প নিয়ে সকলে মিলে কাজ করার কোনও মানে হয় না,” বললেন অনুরাগ।
‘কেনেডি’ ছবির চরিত্রগুলি সুধীরের এক চিত্রনাট্য থেকে চুরি করা বলে মজা করে জানালেন অনুরাগ। সেই চিত্রনাট্য তিনি লিখেছিলেন ২০ বছর আগে। যদিও ছবিটা আর হয়নি। সুধীর আর তাঁর সম্পর্ক এক নামহীন ভালোবাসার বলে বর্ণনা করেন অনুরাগ।
সুধীর মিশ্রর সঙ্গে
‘কেনেডি’তে অভিনয় করেছেন রাহুল ভট্ট ও সানি লিওনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন এর আগে সানির কোনও অভিনয় তিনি দেখেননি। তবে সানির সঙ্গে কথা বলে তাঁকে একজন ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। ছবিতে সানি তাঁর প্রত্যাশা পূরণ করেছেন বলে জানালেন অনুরাগ।
আরও পড়ুন: ডেভিড হেয়ারের জীবনী প্রকাশ
ওটিটিতে সেন্সরশিপ প্রয়োগ নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনুরাগের। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ছবির সময় থেকেই তিনি এই সমস্যার মোকাবিলা করছেন বলে জানালেন। তিনি নিজে কোনওদিন সেন্সর বোর্ডের জুরি হতে চান না। হলে তিনি সব ছবিকেই ছাড়পত্র দিয়ে দেবেন। “সব দোষ অবশ্য জুরিদের দিয়ে লাভ নেই। কোনও ছবিকে ক্লিন সার্টিফিকেট দিলে তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয় সেই দায়িত্ব তাঁদের নিতেই হয়,” মনে করিয়ে দিলেন অনুরাগ।
ছোটবেলায় বহুবার কলকাতায় এসেছেন অনুরাগ। নবীনা সিনেমার কাছেই ছিল তাঁর দিদির শ্বশুরবাড়ি। “শুনেছিলাম খুব কাছেই উৎপল দত্তের বাড়ি। আমি মাঝে-মাঝে গিয়ে ওই বাড়ির দেওয়ালে ঢিল ছুঁড়ে পালিয়ে আসতাম,” হাসতে-হাসতে বললেন অনুরাগ। তবে ইদানিং শহরে লুকিয়ে আসেন তিনি। ছোটবেলার বন্ধুরা আছেন এখানে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই মাঝে-মাঝে কলকাতা ঘুরে যান অনুরাগ।
ছবি: সুফল ভট্টাচার্য