টেলিভিশনে প্রথমবার সুয়োরানি-দুয়োরানির গল্প
RBN Web Desk: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় রূপকথার গল্প ‘ক্ষীরের পুতুল’ আসতে চলেছে টেলিভিশনের পর্দায়। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেখানো হচ্ছিল সুয়োরানি-দুয়োরানির গল্পের প্রোমো। এমনিতে বাংলা টেলিভিশনে ছোটদের বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকের বড়ই অভাব। শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘ঠাকুমার ঝুলি’। তাই ১১ জুন শুটিং শুরু হওয়ার পর থেকে সবাই ‘ক্ষীরের পুতুল’-এর অপেক্ষা করছিল।
রাজপুত্র, রাজকন্যা, পক্ষীরাজ, ক্ষীরের নদী, দুধের সাগর, রাক্ষস-রাক্ষসী, ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী, সাত রাজার ধন মানিক এসব শুনে ছোটবেলায় ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে বহু দস্যির দল। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই রূপকথার গল্প সবার থেকে আলাদা। একবার দেশ-বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে রাজা তার দুই রাণীর জন্য কী আনবেন জিজ্ঞাসা করেন। সুয়োরানি বলেন তাঁর জন্য আকাশের মতো নীল, বাতাসের মতো ফুরফুরে, জলের মতো চিকন শাড়ি আনতে। ওদিকে সুয়োরানি একটি কালো বানর চাইলেন। ‘ক্ষীরের পুতুল’ গল্পে এই বানরের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিকে থ্রিডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হবে বানরটিকে। থাকবে বেশ কিছু উন্নতমানের ভিএফএক্সের কাজও।
আরও পড়ুন: নাম বদলে ফেললেন ‘বাহামণি’
তবে অবনীন্দ্রনাথের মূল গল্পটি যেহেতু আকারে ছোট, তাই ধারাবাহিকের স্বার্থে তার পরিধি বেশ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। যেমন মূল তিনটি চরিত্র রাজা ও তার দুই রানির ব্যাকস্টোরি থাকবে, দেখানো হবে রাজার অভিযানের বিস্তৃত ঘটনার দৃশ্যাবলীও।
গল্পে চরিত্রদের আলাদা কোনও নাম না থাকলেও, এই ধারাবাহিকে রাজার নাম স্যমন্তক। ‘নকশি কাঁথা’র পর আবার কোনও ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ফিরছেন সুমন দে। দুয়োরানি সুধার ভূমিকায় রয়েছেন সুদীপ্তা রায়। এর আগে ‘চোখের বালি’ ও ‘আদরিনী’ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সুয়োরানি সাগরিকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রীতমা রায়চৌধুরী।
২৭ জুলাই থেকে জ়ি বাংলায় সম্প্রচারিত হবে ‘ক্ষীরের পুতুল’।