ওয়েব সিরিজ়ে অত্যধিক হিংসা ও যৌনতা দেখানো হচ্ছে: কৌশিক
RBN Web Desk: ওয়েব সিরিজ়ের নামে ইদানিং অত্যধিক হিংসাত্মক ও আপত্তিকর দৃশ্য দেখানো হচ্ছে বলে মনে করেন অভিনেতা কৌশিক সেন। সম্প্রতি একটি সিরিজ়ের শুটিংয়ের ফাঁকে তিনি রেডিওবাংলানেট-কে এ কথা জানালেন।
সিরিজ়ের ক্ষেত্রে কী দেখে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কৌশিক জানালেন, “অভিনয় আমার পেশা। তাই যে কোনও ধরণের চরিত্র আমাকে করতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমি কোনও বাছবিচার করি না। বর্তমান পরিচালকদের কারোর সঙ্গেই কাজ করতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে বিশেষত ওয়েব সিরিজ়ের ক্ষেত্রে অকারণে ভায়োলেন্স ও যৌনতার বাড়াবাড়িটা আমার পছন্দ নয়। প্রয়োজন ছাড়া নোংরা ভাষা ও দৃশ্য আনার কোনও যুক্তি নেই, যেটা অনেক ক্ষেত্রেই করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
কৌশিক নিজেও কয়েকটি ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “আমি ‘জাজমেন্ট ডে’র প্রথম সিজ়নে ছিলাম। সেখানে অত্যধিক ভায়োলেন্স ছিল। আমার মনে হয়েছিল অতটা না হলেও চলতো। তাই আমি দ্বিতীয় সিজ়নটা করতে রাজি হইনি। এছাড়া আমি ‘লালবাজার’-এ অভিনয় করেছি। সেখানে বরং আমার মনে হয়েছে সায়ন্তন (ঘোষাল) ও প্রযোজক সংস্থা সংযমের পরিচয় দিয়েছে। যদিও চাইলে ওর থেকেও কিছু দৃশ্য বাদ দেয়া যেত, তবু মোটামুটি ঘটনার প্রয়োজনে দৃশ্যগুলো এসেছে, অকারণে নয়। ওই গল্প নিয়ে আরও রগরগে সিরিজ় বানানো যেত। কারণ লালবাজার সংক্রান্ত ঘটনায় সেটাই যুক্তিযুক্ত,” জানালেন কৌশিক।
তবে শিল্পের কোনও মাধ্যমেই সেন্সরশিপের প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন কৌশিক। “এখানে নিজস্ব মাত্রাজ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। সেন্সর নেই বলেই আমি যা খুশি দেখাতে পারি, এটা খুব অপরিণত ধারণা। স্রেফ বাজার ধরার জন্য কিছু সস্তা দৃশ্য আনলেই তা দর্শকদের ভালো লাগবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক বিষয় মানেই শুধু যৌনতা আর ভায়োলেন্স নয়। সেটা অন্যভাবেও বোঝানো যায়। সবকিছু সেন্সর দিয়ে কেন আটকাতে হবে? সেন্সরশিপ শুরু হলে আরও অনেক কিছু আটকে যাবে, সেটা কখনওই কাম্য নয়। তাই চিত্রনাট্য তৈরির সময় মাত্রাজ্ঞান থাকা প্রয়োজন,” বললেন কৌশিক।
ছবি: গার্গী মজুমদার