মুখ বুজে মানিয়ে নেওয়ার দিন শেষ, আসছে ‘কন্যাদান’
RBN Web Desk: ‘মেয়েদের একটু মানিয়ে গুছিয়ে নিতে হয়’, ‘সহ্য করাই মেয়েদের ধর্ম’, ‘মেয়েমানুষের কি ওসব ভাবলে চলে’, একটা সময় এই ধরণের কথা মেয়েরা জ্ঞান হওয়ার সময় থেকেই শুনে আসতো। ভারতীয় মেয়েদের এই শিক্ষাতেই বড় করা হয় যে সে যেন সব অবস্থায় মানিয়ে নিতে পারে। মুখ ফুটে নিজের চাহিদার কথা তাকে কখনও বলতে শেখানো হয় না। এমন কী শ্বশুরবাড়িতে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েও রাঙাপিসি কিংবা অমুক দাদার শাশুড়ি কী বলবেন সেই ভেবে মুখ বুজে সব সয়ে নিয়েছে কত অগুনতি মেয়ে। এ দেশের সংস্কৃতির ধারা মেয়েদের শুধু সহ্য করে যেতে বলে। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা বস্তাপচা কিছু ধ্যানধারণাকে আঁকড়ে আর কতদিন চলবে মানবসমাজ?
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মনে করে কন্যাদানেই পিতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। তাই বিবাহিত জীবনে সুখী না হলেও মেয়েটিকে সব সহ্য করতে হয়। চাইলেও সে আর আগের জীবনে ফিরে যেতে পারে না। কারণ সে আদৌ জানে না তার বাবা-মা তাকে সমর্থন করবেন কিনা। এই সেকেলে অচলায়তনের মূলে কুঠারাঘাত করতে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘কন্যাদান’।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
এই ধারাবাহিক এমন এক পিতার কাহিনী যিনি পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নিয়ম মেনে তাঁর মেয়েদের সব অত্যাচার নীরবে মুখ বুজে সয়ে যাবার শিক্ষা দেন না। বরং সমস্তরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখান। কারণ পুরুষ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন পিতা। মাতৃহারা মেয়েদের পিতারূপে তিনি মনে করেন কন্যাদান করলেই সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং সেই মুহূর্ত থেকে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। ছাতার মতো নিজের সন্তানদের আগলে রাখেন সেই পিতা। দিতে থাকেন নিজস্ব মূল্যবোধের পাঠ। জীবনযুদ্ধে লড়ে যাওয়া আবার খারাপ সমযে ধৈর্য রাখার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন তিনি তাঁর সন্তানদের।
এমনই এক পিতার কাহিনী নিয়ে আসছে ‘কন্যাদান’। অভিনয়ে রয়েছেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, মানসী সিনহা, প্রিয়া মালাকার ও আরও অনেকে।
৭ ডিসেম্বর থেকে সান বাংলায় প্রতিদিন রাত ৮.৩০টায় থেকে দেখা যাবে ‘কন্যাদান’।