কেন্দ্রে যখন সুরসাধনা
RBN Web Desk: সঙ্গীতের অ-আ-ক-খ আয়ত্তে আসা মানেই যেন তেন প্রকারেন বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন মঞ্চ থেকে রিয়্যালিটি শো সর্বত্র নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখাই যেন ইদানিং দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রকৃত সঙ্গীতশিল্পী নিছক নাম যশের জন্য সুরসাধনা করেন না। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জ্ঞান আরও বড় প্রাপ্তির কথা বলে।
সুগায়িকা অহনা সঙ্গীতের সেই গভীরতার সন্ধান করে। সামান্য পরিচিতি বা খ্যাতির লোভ তাকে বিচলিত করতে পারে না। অহনার সমস্ত জীবন জুড়ে রয়েছে শুধু সুর আর গান। গানই তার জীবন। কিন্তু সস্তার জনপ্রিয়তায় তার কোনও আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: রেগে আগুন কমল মিত্র, সুবিধা হলো সত্যজিতের
একদিন এক ছোট্ট অনুষ্ঠানে অহনার গান শুনে মুগ্ধ হন শশাঙ্কশেখর। ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ও গুরু শশাঙ্কশেখরের দেশজোড়া খ্যাতি। অহনার গান শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। এমন একটি কণ্ঠই তো তিনি এতদিন খুঁজছিলেন। যে কণ্ঠ ভরিয়ে রাখবে তার ঘর সংসারের প্রতিটি কোণকে। এমন একটি মেয়েকেই তো তিনি খুঁজছেন পুত্রবধূ করবেন বলে। ছেলে নক্ষত্রের সঙ্গে অহনার বিয়ে একরকম স্থির করে ফেলেন শশাঙ্কশেখর। তার ছেলে শুধু নামকরণেই নয়, জনপ্রিয়তাতেও নক্ষত্রের সমান। তবে বাবার মতো সে শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকেনি। জনপ্রিয় ধারায় গান করে সে আজ বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। যদিও বাবার প্রতিভাকে সে একটু সমঝে চলে। কারণ সে জানে প্রকৃত গুণীজন তার বাবার কদর বোঝে। তাই সে চায় এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করতে যার জীবনে সুরের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। ঘটনাচক্রে একদিন নক্ষত্রের সঙ্গে অহনার আলাপ হয়। অহনার ব্যক্তিত্ব নক্ষত্রকে আকর্ষণ করে। তবে অহনার সঙ্গীতচর্চার কথা সে জানতে পারে না। বাবার দেখা মেয়েকে বাতিল করে অহনাকে বিয়ে করে নিয়ে আসে নক্ষত্র।
ছেলের পছন্দ দেখে হতবাক হয়ে যান শশাঙ্কশেখর। যে মেয়েকে তিনি ঘরের লক্ষ্মী করে আনতে চেয়েছিলেন, তাকেই বিয়ে করেছে নক্ষত্র। অহনার গানের খবর নক্ষত্র জানে না। যখন জানবে তখন কী হবে নক্ষত্রর প্রতিক্রিয়া? তার বাবার ধারায় গানকে সম্পদ করে এগিয়ে চলা অহনাকে কি নক্ষত্র নিজের জীবনসঙ্গীরূপে মেনে নিতে পারবে?
সঙ্গীতচর্চাকে কেন্দ্র করে শুরু হতে চলেছে ধারাবাহিক ‘হারানো সুর’। অভিনয়ে থাকবেন শর্মিষ্ঠা আচার্যি, প্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় ও আরও অনেকে। ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন রাত নটায় সান বাংলায় দেখা যাবে ‘হারানো সুর’।
