দ্বিতীয় ছবিতে ডাক্তারের ভূমিকায় জিতু, সঙ্গে পরাণ ও লিলি
RBN Web Desk: বাঙালি দর্শক সম্ভবত বহুদিন ধরেই এরকম একটা মুখের সন্ধানে ছিল। ‘অপরাজিত’ ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় জিতু কামালকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জনতা এই মুহূর্তে যে কোনও গোয়েন্দার চরিত্রে জিতুর নামে বাজি রাখতে প্রস্তুত। তবে আগামী ছবিতে জিতু থাকছেন এক ডাক্তারের ভূমিকায়, সম্পর্কের গল্পে। যে সম্পর্কে দায়িত্ব পালন করতে না পারার হতাশা ক্রমশ কিছু চরিত্রকে ঠেলে দেয় ব্যর্থতার অন্ধকারে। তিনটি গল্প নিয়ে তৈরি পরিচালক অর্ণব মিদ্যার ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’ ছবিতে জিতু ছাড়াও থাকছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, দেবশঙ্কর হালদার, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, জয় সেনগুপ্ত ও অবন্তিকা বিশ্বাস।
সম্পর্কের মূল উপাদান ভালোবাসা বা বিশ্বাস হতেই পারে। তবে এ ছাড়াও থাকে দায়িত্ববোধ। যে কোনও সম্পর্ককে পূর্ণতা দেয় সামান্য কর্তব্যের অনুভূতি, যা ছাড়া সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে সব চাওয়া পাওয়া মিটিয়েও কি সব কর্তব্য পালন করা যায়? সমস্ত কিছু করেও যেন এক অমোঘ বিধানের কাছে মানুষকে নত হতেই হয়, যার নাম পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতির শিকার হতে হতেই একসময় নেমে আসে ব্যর্থতার যন্ত্রণা। কিন্তু তারপর? তিনটি গল্পের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত জীবনে পারস্পরিক সম্পর্কের কথাই উঠে আসবে অর্ণবের আগামী ছবিতে।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
‘অন্দরকাহিনী’র পর এটি অর্ণবের দ্বিতীয় ছবি। জিতুরও বড়পর্দায় এটি দ্বিতীয় কাজ। কিন্তু জিতুকেই কেন বেছে নিলেন অর্ণব?
“আমি যখন ওকে নিয়েছি জিতু তখনও কামাল করেনি,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন অর্ণব। “তখনও ‘অপরাজিত’ মুক্তি পেতে অনেক দেরি। পরাণদার ছেলের চরিত্রে এমন একজনকে আমার দরকার ছিল যাঁর ব্যক্তিত্ব ও অভিনয় দুটোই বেশ শক্তিশালী হবে। আসলে আমার একজন ভালো অভিনেতার প্রয়োজন ছিল যে ছবিটার জন্য সময় দিতে পারবে। আমি ঠিক যেভাবে আমার ছবির জন্য সময় চাই, সেটা অনেকেই দিতে পারে না। ছবির কাজের জন্য আমি আর জিতু এতবার বসেছি যে সেটে আমাকে প্রায় আলাদা করে কিছু বলতে হয়নি। ও জানতো আমি কী চাইছি। জিতু সুদর্শন নিশ্চয়ই, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা ও একজন ভীষণ ভালো অভিনেতা।”
পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ছবিতে প্রথমবার জুটিতে দেখা যাবে পরাণ ও লিলিকে। তাঁদের ছেলের ভূমিকায় থাকবেন জিতু, পুত্রবধূ সায়ন্তনী। ছোট্ট নাতনির ভূমিকায় অভিনয় করছেন পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাস্তবেও পরাণের নাতনি। বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কের সমীকরণ উঠে আসবে ছবির তিনটি গল্পে, যার ক্লাইম্যাক্সে চমক থাকবে বলে জানালেন পরিচালক।
ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্ণব, চিত্রগ্রহণে রয়েছেন মনোজ কর্মকার ও শুভদীপ নস্কর। সম্পাদনায় রয়েছেন অনির্বাণ মাইতি। সঙ্গীত পরিচালনায় আছেন রণজয় ভট্টাচার্য।
ছবির শুটিং শেষে আপাতত সম্পাদনার কাজ চলছে। কলকাতা ছাড়াও সুন্দরগ্রাম ও হুগলির কয়েকটি জায়গায় শুটিং হয়েছে।
পুজো নাগাদ ছবিটি মুক্তি পেতে পারে বলে জানালেন অর্ণব।