‘এক যে ছিল রাজা’ ভাইবোনের সম্পর্কের গল্পও বটে: জয়া আহসান
RBN Web Desk: শুধু রূদ্ধশ্বাস কোর্টরুম নাটকই নয়, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’ ভাইবোনের সম্পর্কের গল্পও বটে, এমনটাই বললেন অভিনেত্রী জয়া আহসান । বৃটিশ ভারতের বিখ্যাত ভাওয়াল এস্টেট মামলা নিয়ে সৃজিতের এই ছবিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া।
ছবিতে বিক্রমপুরের মেজকুমার মহেন্দ্রকুমার চৌধুরীর ভূমিকায় রয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত। মহেন্দ্রকুমারের সবথেকে কাছের মানুষ ছিলেন তাঁর মেজবোন মৃণ্ময়ী দেবী। দাদার মৃত্যুর খবর কোনওদিনই মেনে নেননি মৃণ্ময়ী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহেন্দ্রর খোঁজ করতে থাকেন। দাদা বেঁচে আছে, এক মুহূর্তের জন্যও টলেনি তাঁর এই বিশ্বাস। এই মৃণ্ময়ীর চরিত্রেই দেখা যাবে জয়াকে।
সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জয়া জানালেন, “একদিকে যেমন আমি আর যীশুদা ভাই-বোনের চরিত্রে অভিনয় করছি, তেমনই অন্যদিকে মহেন্দ্রকুমারের স্ত্রী চন্দ্রাবতী ও তাঁর দাদা সত্য বন্দোপাধ্যায়ের চরিত্রে দেখা যাবে রাজনন্দিনী পাল ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। ছবিতে এই দুই জোড়া ভাইবোন একে অপরের সবথেকে বড় সম্বল।”
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
উল্লেখ্য, যে নাগা সন্ন্যাসী নিজেকে ভাওয়ালের মেজকুমার বলে দাবী করেছিলেন, তাঁকে কোনওদিনই স্বামী বলে স্বীকার করেননি বিভাবতী (ছবিতে চন্দ্রাবতী)। বিভাবতীর বিরুদ্ধে সন্ন্যাসীর মামলা লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিল অবধি গড়ায়, যা ছিল তৎকালীন বৃটিশ ভারতের সর্ব্বোচ্চ আদালত।
“বাংলাদেশে ঢাকার বাইরে আউটডোর শ্যুটিং করতে আমরা হামেশাই ভাওয়ালগড়, পুবাইল, শালবন, এই সব জায়গায় যাই। এগুলো সবই তৎকালীন ভাওয়াল এস্টেটের অন্তর্গত ছিল। এই সব জায়গায় যখনই শ্যুটিং করতে গেছি তখন বেশ একটা রূপকথার মতন লাগত কারণ ভাওয়াল এস্টেটের ঘটনা বাংলাদেশে প্রায় সবারই জানা। সৃজিতের ছবিতে কাজ করার পর এই জায়গাগুলোতে যখন আবার যাই তখন দারুণ একটা রোমাঞ্চ হয়েছিল,” বললেন জয়া।
তাশি গাঁওয়ে একদিন
অভিনয় ছাড়াও এক যে ছিল রাজা ছবির রিসার্চে সাহায্য করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। ভাওয়ালের নানান জায়গা, যেমন শ্মশানঘাট ও বৃটিশ আমলের অন্যান্য ঘরবাড়ির ছবি তিনি তুলে এনে দিয়েছিলেন সৃজিতকে। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে গাজীপুর অঞ্চলে যে ভাবে বাংলা বলা হতো, সেই ব্যাপারেও তিনি সাহায্য করেছেন পরিচালককে।
এক যে ছিল রাজা মুক্তি পাচ্ছে ১২ অক্টোবর।