সৌমিত্রদাই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন: ইন্দ্রনীল
কলকাতা: তাঁর মধ্যে ফেলুদা হওয়ার ইচ্ছে প্রথম জাগিয়ে তোলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আজ সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘হত্যাপুরী’ ছবির ট্রেলার মুক্তির সময় এমনটাই জানালেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ২০১৬ সালের পর আবারও বড়পর্দায় আসতে চলেছে সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র প্রদোষচন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা। ছবিতে ফেলুদার চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রনীল। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অভিজিৎ গুহ, আয়ুশ দাস, পরান বন্দোপাধ্যায়, সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
ইন্দ্রনীল রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “ফেলুদা করার ইচ্ছেটা যে হয়েছিল, তার একটা কারণ ঘটেছিল অনেকদিন আগে। আমি সৌমিত্রদার সঙ্গে দুটো ছবি করেছি, ‘অংশুমানের ছবি’ আর ‘অরণি তখন’। এই দুটোর একটার সময় সৌমিত্রদা হঠাৎ একদিন বলেছিলেন, তুমি বাবুর (সন্দীপ) সঙ্গে কথা বলেছো? আমি বললাম, না তো। উনি বললেন, আমার মনে হয় তোমাকে ফেলু মানাবে। বেণু (সব্যসাচী চক্রবর্তী) বোধহয় আর ফেলু করবে না। তুমি একবার যেও। আমি শুনে বলেছিলাম, আপনি যে আমার কথা ভেবেছেন এটাই অনেক। তারপর যখন জানলাম বেণুদা আর ফেলুদা করবেন না, তখন বাবুদাকে ফোন করে বলেছিলাম আমি এই চরিত্রটা করতে চাই। তাই সৌমিত্রদাই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বলা যায়। তার আগে আমি এটা নিয়ে ভাবিনি। এটা ২০১৬ সালের ঘটনা। তারও অনেক পরে বাবুদা আমাকে ফেলুদার চরিত্রে নেন।”
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
কোনওদিনই তাঁর কোনও স্বপ্নের চরিত্র ছিল না বলে জানালেন ইন্দ্রনীল। তবে সৌমিত্র বলার পর এটা নিয়ে ভেবেছিলেন তিনি। “তারপরে ভাবলাম যে সত্যি ফেলুর চরিত্রটা আমার এত পছন্দের, বাংলায় যখন কাজ করছিই এখন, এটা তো আমি করতেই পারি। তবে এটা সৌমিত্রদাই প্রথম আমাকে ভাবিয়েছিলেন। তার আগে মাথায় আসেনি,” বললেন ইন্দ্রনীল।
টিম ‘হত্যাপুরী’
কতটা টেনশন ছিল এরকম একটা আইকনিক চরিত্রে কাজ করতে যেখানে আগে সৌমিত্র ও সব্যসাচীকে দেখা গিয়েছে?
“টেনশন সেরকম ছিল না,” বললেন ইন্দ্রনীল। “কারণ সৌমিত্রদা বা বেণুদা করেছেন বলেই আমাকে তাঁদের মতো করে চরিত্রটা করতে হবে এটা আমি কোনওদিন ভাবিনি। আমি মনে করি কেউ কারও মতো করে একটা চরিত্র করতে পারে না। যে যার নিজের মতো করেই করে। আর ফেলুদা তো বায়োপিক নয়। গল্পের চরিত্র। কাজেই তাকে এরকমই হতে হবে, অন্য কিছু করা যাবে না এমনটাও নয়। তাই এটা কারও মতো করে নয়, ইন্দ্রনীলের ফেলুদাই হোক,” বললেন বড়পর্দার নতুন ফেলুদা।
ছবি: গার্গী মজুমদার