সিনেমার পর এবার কোপ নাটকেও
কলকাতা: সিনেমার পর এবার বন্ধ করা হল নাটকও। সাম্প্রতিককালে অনীক দত্তর ছবি ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর মুক্তি নিয়ে টালবাহানা চলার মধ্যেই নতুন করে অভিযোগ উঠল নাটক বন্ধ করা নিয়ে। আজ শহরের সুজাতা সদনে প্রবীর মণ্ডলের নাটক ‘হিন্দু চোর’ অভিনীত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিচালকের দাবী, পুলিশ-প্রশাসনের তরফে নাটকটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ‘ভবিষ্যতের ভূত’। কিন্তু ঠিক একদিনের মাথায় ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনও এক ‘ওপর মহলের’ নির্দেশে হল মালিকরা ছবিটি চালাতে অস্বীকার করেন। শেষমেশ দেশের সর্বোচ্চ আদালত ১৫ ও ২৫ মার্চ দুটি আলাদা নির্দেশে ছবিটি চালানোর কথা বললেও এখনও শহর কলকাতায় মুক্তি পায়নি ‘ভবিষ্যতের ভূত’. তবে শহরতলি ও মফস্বলের কয়েকটি হলে চলছে ছবিটি।
আর্সেনিক সচেতনতা বাড়াতে আসছে শ্রাবন্তী-সাহেবের নতুন ছবি
এরই মধ্যে আজ প্রবীরবাবু দাবী করেন, তাঁর ‘হিন্দু চোর’ নাটকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, আজ সকালে ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে নাটকটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পরিচালকের একক অভিনয়ে এই নাটকটি শিশির মঞ্চে প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়।
ফের জুটি বাঁধছেন সৃজিত-সুমন
কি আছে নাটকের কাহিনীতে?
গিরেন নামে এক চোরের গল্প নিয়ে তৈরি এই নাটক। গিরেন হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সে চুরি করে অন্যকে সাহায্য করে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই নাটক লেখেন প্রবীর নিজেই। এই চোরকে স্থানীয় লোকজন ভালোবেসে নাম দিয়েছিল হিন্দু চোর। এই নামটিই পরিচালক তার নাটকেও ব্যবহার করেন।
২০১২ সালে এই নাটক নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি বলে দাবী পরিচালকের। জানা গেছে, নাটকটি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানায় হিন্দু জাগরণ সমিতি নামের এক কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
তবে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ার আগেই পুলিশ নাটকটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশের তরফে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, “ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক একটি পোস্টার শহরের একটি জায়গায় নজরে এসেছে আমাদের। ওই পোস্টার সরিয়ে দিয়েছি আমরা। যারা ওই পোস্টার লাগিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।”
পরিচালকের দাবী, নাটকে কোথাও হিন্দু ধর্মকে আঘাত করা হয়নি।