নাট্যচর্চার নয়া মঞ্চ পেল শহর
কলকাতা: বহু বছর আগে যোধপুর থেকে লক্ষ্ণৌ হয়ে এই শহরে পড়তে আসা এক নৃত্যশিল্পী গড়ে তুলেছিলেন কলকাতার প্রথম হিন্দি নাটকের দল। তিনি রঙ্গকর্মী স্টুডিও থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা, নাট্যব্যক্তিত্ব ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ১৯৭৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬১, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, রঙ্গকর্মী নাট্যদলের স্থায়ী ঠিকানা। এ বছর ২৩ এপ্রিল প্রয়াত হন ঊষা। তাঁকে উৎসর্গ করে, সম্প্রতি তাঁর নামাঙ্কিত অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত নতুন গ্যালারি স্টুডিও এবং নবনির্মিত মঞ্চের উদ্বোধন করলেন রঙ্গকর্মীর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রঙ্গকর্মীর কার্যনির্বাহী দলের সদস্য তথা ঊষার পুত্র হীরকেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়, দেবযানী চালিয়া, গৌতম দেব, অনিরুদ্ধ সরকার (সম্পাদক) ও আন্যান্যরা।
ঊষা এবং রঙ্গকর্মীর প্রধান কার্যনির্বাহী প্রশাসক রাজেশ পাণ্ডের আকস্মিক মৃত্যুর পর দলের বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরলেন সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
আরও পড়ুন: শেষ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে তাপস পাল
জীবিতকালেই ঊষা তৈরি করেছিলেন ‘বিনোদিনী কেয়া মঞ্চ’। এবার তার পাশেই জায়গা পেল ‘ঊষা গাঙ্গুলী মঞ্চ’। মঞ্চের নকশা এবং রূপদান করেছেন স্থপতি অমিতাভ ঘোষ। ভাবনায় অনিরুদ্ধ সরকার। রঙ্গকর্মীর এই নবনির্মিত থিয়েটার মঞ্চটি দেখতে একটা আখড়া বা গ্যালারির মতো যেখানে ৭০ জন দর্শক একসঙ্গে বসে নাটক দেখতে পারবেন। এছাড়াও নাট্যচর্চার জন্য রয়েছে একটি সুসজ্জিত লাইব্রেরি, আলো ও সাউন্ড অপারেশনের ক্ষেত্র, প্রক্ষেপণ অঞ্চল, পুরুষ ও মহিলা শিল্পীদের জন্য পৃথক গ্রিন রুম, ফটোশুটের ব্যাকড্রপস এবং রিফ্রেশমেন্টের জন্য আর (R) ক্যাফে।
ভবিষ্যতে রঙ্গকর্মী নিজস্ব প্রযোজনা, নাট্যৎসব ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাংস্কৃতিক প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পীর অন্বেষণ, প্রচার এবং তাঁদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চেষ্টা করবে। এছাড়াও যে সমস্ত মানুষ ধারাবাহিকভাবে শিল্প সংস্কৃতির চর্চা করে চলেছেন, তাঁদের জন্য তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থাও করবে রঙ্গকর্মী।