গৌরব, অনিন্দ্য, তনুশ্রীর ছবির মধ্যে ছবি
RBN Web Desk: বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে পরীক্ষামূলক ছবির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তবু তার মধ্যেও কয়েকজন পরিচালক এখনও ‘হিট ছবির ফিট ফর্মুলা’র বাইরে ভাবার সাহস দেখাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত পরিচালক। তবে এবার নবাগত পরিচালক সুদীপ্ত লাহা এক ছকভাঙা ছবি আনতে চলেছেন দর্শকের জন্য।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক ছবির রসদ নিয়েও শক্তি হারাল ‘তুফান’
সুদীপ্তর ‘কারণ গ্রিস আমাদের দেশ না অথবা ব্লু-ব্ল্যাক ও ট্রান্সপারেন্ট হোয়াইট’ ছবির কাহিনি এক অল্পবয়সী চিত্রপরিচালককে নিয়ে। ছবিতে এই চরিত্রের নামও সুদীপ্ত। পেশাদার জীবনে সে অত্যন্ত অসংবেদনশীল, হতাশাগ্রস্ত ও স্বার্থপর। সুদীপ্ত সকলের মনে রাখার মতো একটা ছবি বানাতে চায়। তবে তার জন্য সে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি নয়। তার প্রথম ছবিটি ব্যবসায়িক এবং গুণগত মান, উভয় দিক থেকেই ব্যর্থ হয়।
সুদীপ্ত এবার প্রযোজককে না চটিয়ে তার কথামতো নীচুমানের থ্রিলার নির্মাণ শুরু করে। তার দিদির বাড়িতে শুটিং করতে গিয়ে এক চিত্রশিল্পীর সঙ্গে সুদীপ্তর আলাপ হয়। শিল্প নিয়ে সেই শিল্পীর ভাবনা ও সংশয় সুদীপ্তর মনকে প্রভাবিত করে। সে জানতে পারে, সেই শিল্পীর কোনও ছবিই এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া তো দূরস্থান, কোথাও প্রদর্শিতই হয়নি।
কমলেশ্বর ও রাজেশ্বরী
সুদীপ্তর অহঙ্কারী সত্ত্বার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এখানেই। সে তার ছবির নায়ক ও প্রযোজকের সাহায্য নিয়ে সেই শিল্পীর জন্য এক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে। এতকিছুর পরে কি সুদীপ্তর মনের বদল ঘটবে? তার এই নতুন চিরাচরিত ঢঙের ছবিতেও কি সে কোনও নতুনত্ব এনে সাফল্য পাবে?
ছবির নায়ক, পরিচালক সুদীপ্তর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত (Anindya Sengupta)। তাঁর দিদির চরিত্রে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tnusree Chakraborty)। চিত্রশিল্পীর ভূমিকায় থাকছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukherjee)। সুদীপ্তর ছবির নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gourab Chatterjee) ও রাজেশ্বরী পাল। প্রযোজকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সিক্যুয়েলে নেই দীপিকা
ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন সুদীপ্ত লাহা। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন উত্তরণ দে এবং সম্পাদনা করেছেন অনির্বাণ মাইতি।
সুদীপ্ত লাহা জানালেন, “আমি চাই মানুষ নীতিগত ও নিয়মগত দ্বন্দ্বের মাধ্যমে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝুক। মানুষকে গল্প আকর্ষণ করে না। বরং মানুষের অবস্থা ও পরিস্থিতি আকর্ষণ করে। নিজের অভিজ্ঞতা ও বোধশক্তি দিয়ে যা বুঝেছি, তার ওপর ভিত্তি করেই আমি মানুষকে আমাদের সাধারণ অস্তিত্বের সত্যিটা জানাতে চাই। আমি আড়ম্বরহীন, জীবনমুখি ছবি বানাতে চেয়েছি, যাতে কোনওরকমের চিরাচরিত ঢং থাকবে না।”
ছবিতে কোনও আবহ ব্যবহার করা হয়নি। ক্লোজ় শটের ব্যবহারও নেই বললেই চলে। অনেক দৃশ্যের মাঝে কোনও কাটও নেই।’
শীঘ্রই মুক্তি পাবে ‘কারণ গ্রিস আমাদের দেশ না অথবা ব্লু-ব্ল্যাক ও ট্রান্সপারেন্ট হোয়াইট’।