‘গোত্র’র ৫০, দর্শকদের কেক খাওয়ালেন নাইজেল, মানালিরা
কলকাতা: বক্স অফিসে ৫০ দিন পূর্ণ করল নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘গোত্র’। এই উপলক্ষে গতকাল নিউটাউনের এক প্রেক্ষাগৃহে কেক কাটলেন পরিচালকদ্বয় ও এই ছবির সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা, খাওয়ালেন দর্শকদেরও। ২৩ আগস্ট মুক্তি পায় অনসূয়া মজুমদার, নাইজেল আকারা, মানালি দে, ওম সাহানী ও দেবলীনা কুমার অভিনিত ‘গোত্র’।
ছবি ৫০ দিন পূরণ করায় স্বভাবতই খুশি শিবপ্রসাদ-নন্দিতা। এর আগে এ বছরেই মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁদের ছবি ‘কণ্ঠ’ ১০০ দিনের ওপর চলেছে প্রেক্ষাগৃহে।
“‘গোত্র’র পুরো কৃতিত্বই শিবু-নন্দিতা জুটির,” বললেন অনসূয়া। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র মুক্তিদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। “অভিনেত্রী হিসেবে অনেক ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু শিবু-নন্দিতার মতো বাণিজ্যিকভাবে এত সফল ছবি আর কখনও পাইনি। বাজারি চাহিদার সঙ্গে কোনও আপোষ না করেও কিভাবে সফলভাবে ছবি তৈরি করা যায়, সেটাই ওদের থেকে শেখার। ওদের সঙ্গে আবারও কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
নন্দিতার দাবী, “আমরা এমন ছবিই করি যেটা পরিবারের সবাই মিলে বসে দেখতে পারে। তার জন্য গল্প খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ছবিতে। বহু মানুষ একাধিকবার দেখেছেন ‘গোত্র’, এবং সেটা গল্পের টানেই।”
‘গোত্র’র অন্যতম মুখ্য চরিত্র ঝুমার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মানালি। জানালেন, “শ্যুটিং শুরুর আগে ওয়ার্কশপ করেছিলাম আমরা। সেখানে একজন পরিচারিকাকে যে সব কাজ করতে হয়—যেমন রুটি বেলা, রান্না করা, ঘর গুছিয়ে রাখা, কিভাবে হাঁটাচলা করবে বা দাঁড়াবে—সবকিছুই শিখিয়ে দিয়েছিল শিবুদা-নন্দিতাদি। এমনকি স্কুটার চালানোও, যেটুকু দরকার, শিখে নিয়েছিলাম ১৫-২০ দিনের ওয়ার্কশপে।”
বালিগঞ্জ থেকে সপরিবারে ‘গোত্র’ দেখতে এসেছিলেন চন্দ্রিমা সরকার। “ছবির প্রত্যেকটি চরিত্রই ভীষণ চেনা, আমাদের আশেপাশেই রয়েছেন তারা। আর গল্পের যে মূল বক্তব্য—সৌহার্দ্য—এটা তো আজকের দিনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। এই ছবিটা তো দেখতেই হতো,” বললেন চন্দ্রিমা।