চিত্র পরিচালক গৌতম হালদার প্রয়াত, শোক বিদ্যার
RBN Web Desk: চলে গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও চিত্র পরিচালক গৌতম হালদার। আজ সকালে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অশীতিপর পরিচালকের।
তাঁর জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘ভালো থেকো’ দিয়ে শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের বড়পর্দার যাত্রা। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও দেবশঙ্কর হালদারও। সেসময় সদ্য অভিনয় জগতে পা রাখা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন ছবিতে।
সিনেমা ছাড়াও নাট্যজগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন গৌতম। তাঁর পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাতেই সন্তুষ্ট দেব
আজ সন্ধ্যায় পরিচালকের শেষকৃত্যের আগে শহরে এসে বিদ্যা সংবাদমাধ্যমকে বললেন, কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজোয় ওঁর বাড়িতে এসেছিলাম। তখন গৌতমদার সঙ্গে ওঁর আগামী ছবি নিয়ে কথা হয়েছিল। ছবির গল্প নিয়ে আলোচনা হলো, বললেন আমি মুম্বই গিয়ে তোমাকে চিত্রনাট্য স্ক্রিপ্ট শোনাব। তারপর কী হয়ে গেল!
বাগবাজারের কাশী মিত্র ঘাটে পরিচালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন সিনেমা ও নাট্যজগতের বিশিষ্ট মানুষেরা।
‘রক্তকরবী’ নাটকে নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করতেন চৈতী ঘোষাল। শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি গৌতমদার ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী। উনি বলতেন রক্তকরবী নানা দলের সঙ্গে হতে পারে, কিন্তু নন্দিনী একমাত্র তুমিই হবে। এ এক বিরাট প্রাপ্তি বলে মনে করেন চৈতী।
পরমব্রতর পারিবারিক বন্ধু ছিলেন প্রয়াত পরিচালক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর যখন বছর ২২ বয়স, তখন গৌতমকাকু তাঁকে ‘ভালো থেকো’ ছবিতে কাজের জন্য ডেকেছিলেন। পরিচালক তাঁর বাবার বন্ধু ছিলেন। সিনেমা ছাড়াও নাটক ও সাহিত্য নিয়েও অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল তাঁর। যে কোনও বিষয়ে অনর্গল কথা বলতে পারতেন গৌতমকাকু, জানালেন পরমব্রত।
ছবি: আনন্দবাজার