ভয়ের আবহের ওপরেই জোর টিম ‘জতুগৃহ’-এর
কলকাতা: গ্রামের নাম নিষাদগঞ্জ। পাহাড়ের কোলে, ছবির মতো সুন্দর সেই গ্রামে একটি রিসর্টের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতে আসে রেহান। সে আসার পর থেকেই সেই গ্রাম ও রিসর্টকে ঘিরে একাধিক রহস্যময় ও ভৌতিক ঘটনা ঘটতে থাকে। কে বা কারা রয়েছে এ সবের পিছনে? ডাক পরে ৬০ বছর বয়সী ধর্মযাজক যোসেফের। বৃষ্টি, মেঘ, কুয়াশার জাল ছিঁড়ে কীভাবে রহস্যের সমাধান হয়, সেটাই দেখা যাবে সপ্তাশ্ব বসুর পরবর্তী ছবি ‘জতুগৃহ’-এ। ছবিতে যোসেফের চরিত্রে রয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। রেহানের ভূমিকায় রয়েছেন বনি সেনগুপ্ত। অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার ও পিয়ালী চট্টোপাধ্যায়। গতকাল শহরে এক অনু্ষ্ঠানে মুক্তি পেল ছবির ট্রেলার।
“ভৌতিক ছবিতে সাধারণত যেভাবে ভয় দেখানো হয়, আমরা সেই পথে হাঁটিনি,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন সপ্তাশ্ব। “এই ছবিতে ভয়ের আবহ সৃষ্টির ওপরে জোর দিয়েছি যাতে দর্শক সেটা অনুভব করতে পারেন।”
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
এই প্রথম কোনও ষাটোর্ধ চরিত্রে অভিনয় করলেন পরমব্রত। এরকম একটি চরিত্রে তাঁকে নেওয়ার কথা কীভাবে মাথায় এল? “যোসেফের ভূমিকায় আমাদের একজন শক্তিশালী অভিনেতার প্রয়োজন ছিল কারণ এটিই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাই প্রথমেই পরমদার কথা ভেবেছিলাম। তবে পরমদা আজকাল সহজে কোনও ছবিতে কাজ করতে রাজি হয় না। অনেক হিন্দী ছবির প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে। চিত্রানাট্য পড়ে, ছবিতে ওর লুকটা বোঝানোর পর তবে রাজি হয়েছে,” জানালেন সপ্তাশ্ব।
“আমরা বেশ কয়েকটা প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় শুটিং করেছি। ছবিটা যতটা বাস্তবসম্মত করে তোলা যায় তার চেষ্টা করেছি। আমি সাধারণত যে ধরণের ছবি করে থাকি, তার থেকে বেরিয়ে এটা একটা অন্যরকম প্রয়াস,” বললেন বনি।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
‘জতুগৃহ’ পিয়ালীর প্রথম ছবি। তাঁর চরিত্রের নাম মেঘনা। পাহাড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে সে একা থাকে। মেঘনার সঙ্গে রেহানের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কেমন ছিল পরম ও বনির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? “আমি যে নতুন, সেটা ওরা কখনও বুঝতে দেননি। পরমদার সঙ্গে আমার খুব বেশি দৃশ্য নেই। সহঅভিনেতা হিসেবে দুজেনই দুর্দান্ত। ওদের সঙ্গে কাজ করার সময় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি,” জানালেন পিয়ালী।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
ছবির কাহিনীকার অর্ণব ভৌমিক। সংলাপ লিখেছেন অর্ণব ও রবিশঙ্কর চৌধুরী। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন মানস গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ডাব্বু, লয় দীপ ও সুপ্রতিম। কালিম্পং, তাকদাহ ও পেডংয়ে হয়েছে ছবির শুটিং।
জতুগৃহের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতে। দুর্যোধন কর্তৃক পাণ্ডবদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চক্রান্ত বিদূরের বুদ্ধিমত্তায় বিফলে যায়। সেরকম কিছুই কি দেখবে সপ্তাশ্বর ‘জতুগৃহ’? জানা যাবে ২১ অক্টোবর।
ছবি: রাজীব মুখোপাধ্যায়