বাণিজ্যিক ছবিতেই ভরসা রাখতে চান নুসরত, যশ, ঋতুপর্ণা
কলকাতা: পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবিতেই ভরসা রাখতে চান নুসরত জাহান, যশ দাশগুপ্ত ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আবার কমার্শিয়াল ছবিতেই ফিরতে চাইছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এমনটাই মনে করেন তাঁরা। একদা আর্টহাউস এবং পরবর্তীতে প্যারালাল হয়ে ইদানিং প্রায় একচেটিয়া হয়ে যাওয়া অন্য ধারার ছবির পর এবার চিরাচরিত নাচ-গান-অ্যাকশন নিয়ে তৈরি বাণিজ্যিক মশলা ছবিতেই বিশ্বাস রাখছেন টালিগঞ্জের এই তিন তারকা। তেমনই একটি ছবি দেবরাজ সিংহের ‘শিকার’-এ দেখা যাবে তাঁদের। গতকাল শহরে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও কলাকুশলীরা।
ছবির কাহিনী কী নিয়ে?
শান্তিপুর নামে এক মফস্বল শহরকে কেন্দ্র করে এগোবে ছবি। এই অঞ্চলের একচ্ছত্র নায়ক দেব (যশ)। মানুষের বিপদে-আপদে সে তাদের পাশে থাকে। এলাকার মানুষ তাকে ভালোবাসে। শান্তিপুরে বদলি হয়ে আসে সরকারি আঝিকারিক অগ্নি (ঋতুপর্ণা)। সে নিজে একজন সিঙ্গল মাদার। কিছু ঘটনার কারণে বিতর্কে জড়িয়ে একসময় দেবের মুখোমুখি হতে হয় অগ্নিকে। এদিকে শান্তিপুরেই একটি এনজিওর কাজে প্রায়ই আসতে হয় জিনিয়াকে (নুসরত)।
ছবিতে আরও একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র থাকবেন বলে জানা গেল। এছাড়া অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রী কারা থাকবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
“আমি নিজে মনে করি বাণিজ্যিক ছবি আরও অনেক বেশি করে হওয়া উচিত,” বললেন ঋতুপর্ণা, “সে অর্থে সব ছবিই বাণিজ্যিক। তবে দেবরাজ শুরু থেকেই জানিয়েছিল ও একটা সম্পূর্ণ মূলধারার কমার্শিয়াল ছবির কথা ভাবছে। আমি নিজেও বাণিজ্যিক ছবির প্রোডাক্ট। তাই এই ধরণের ছবিকে আমি একটু আলাদা চোখেই দেখি। কারণ ভালো ব্যবসা করতে হলে বাণিজ্যিক ছবিতেই ফিরতে হবে। আর ব্যবসা ভালো হলে সব ধরণের ছবি তৈরির বাজেটও পাওয়া যাবে।”
দেবরাজ সিংহ
নুসরতের মতামতও অনেকটা সেরকম। তিনি বললেন, “আমি প্রযোজকদের ধন্যবাদ দিতে চাই যারা আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে একটা সম্পূর্ণ কমার্শিয়াল ছবি বানাতে চাইছেন, যে ধরণের ছবিকে কিছু ক্ষেত্রে একটু ছোট করে দেখার একটা প্রবণতা এসেছে এখন। তবে আমার মনে হয় সিনেমা সবসময়েই লার্জার দ্যান লাইফ হওয়া উচিত, আর এই ধরণের ছবি বর্তমান প্রজন্মের কাছেও গুরুত্ব পাবে বলেই আমি মনে করি।”
একইসঙ্গে মুম্বই ও বাংলায় কাজ করে চলেছেন যশ। “পশ্চিমবঙ্গে আমার বাড়ি, এটা আমার নিজের জায়গা। তাই বাংলা ছবিতে কামব্যাক করছি এমন একেবারেই নয়। বরং মুম্বইতে কাজ করতে গিয়ে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি বলে আমার গর্ব হয়,” বললেন তিনি।
দর্শক একই ধারার ছবি দেখতে-দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন বলে মনে করেন দেবরাজ। “আমি একটু অন্য ধরণের কাস্ট নিয়ে কিছু করার কথা ভাবছিলাম। এই সময়ে দাঁড়িয়ে একই রকমের ছবি পরপর দেখে দর্শক এবার অন্যরকম কিছু দেখতে চাইবেন। তাই শুরু থেকেই কমার্শিয়াল ছবি বানাতে চেয়েছি। এই ছবির কাস্টিং করতে গিয়ে অগ্নির চরিত্রে ঋতুপর্ণা ছাড়া আর কারও কথা ভাবতেই পারিনি। যশ থাকছে পুরো ছবি জুড়ে। নুসরতের চরিত্রটা একটা সারপ্রাইজ় হিসেবে থাকবে,” জানালেন দেবরাজ।
আরও পড়ুন: খিলজির নোটবই রহস্যে আরিয়ান-দেবলীনা
ছবির কাহিনীকার দেবরাজ নিজে। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
ছবিতে সুরারোপ করছেন অদিতি বসু। গান গাইবেন বাংলা ও মুম্বইয়ের শিল্পীরা। চিত্রগ্রহণে থাকবেন সুদীপ্ত মজুমদার। অ্যাকশন পরিচালনায় থাকবেন রাজেশ কন্নান। সম্পাদনা করবেন সায়ন্তন নাগ।
মার্চের শেষে শুরু হবে ছবির শুটিং।