ভূতবন্দীর খেলা ধনকুঁন্দরা
কলকাতা: পুরুলিয়ার মহারাজনগর গ্রাম। ছোট্ট এই গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, তাঁদের ফসল, গবাদি পশু ও সম্পত্তি রক্ষা করে ধনকুঁন্দরা নামের এক ভূত। এই ভূতের বাস গ্রামেরই কৃষক লখু হেমব্রমের বাড়িতে।
এরকম একটি ভূত যে বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে আছে, সেই খবর কলকাতার লোভী ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ মন্ডলের কানে যায়। শোনামাত্রই ধনকুঁন্দরাকে হাতানোর ফন্দি আাঁটতে থাকে প্রসেনজিৎ। তার কুসংস্করাচ্ছন্ন মনে বিশ্বাস জাগে যে ধনকুঁন্দরাকে একবার বাগে আনতে পারলে বিপুল অর্থের মালিক হতে বেশি সময় লাগবে না। এ ব্যাপারে সে কাজে লাগায় তার কর্মচারী দিলীপকে। গ্রামের এক তান্ত্রিককে নিয়ে দিলীপ লখুকে বোঝায় সেই ভূতটিকে তাদের হাতে তুলে দিতে। দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাজি হয় লখু। ঠিক হয়, লখু তার পরিবার সমেত কলকাতায় যাবে, এবং প্রসেনজিতের কাছে ধনকুঁন্দরাকে হস্তান্তর করবে।
সেই মত ব্যবস্থা হয় সবকিছু। প্রসেনজিতের মোসাহেব জয়ন্ত একটি জায়গা ঠিক করে এই কাজের জন্য। ধনকুঁন্দরাকে আনতে শুরু হয় মন্ত্র পাঠ ও পূজা।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
এরপর কি হয়, তাই নিয়েই তিলজলা ঋতুর নতুন নাটক ধনকুঁন্দরা। রচনা ও পরিচালনায় জয়ন্তদীপ চক্রবর্তী।
রেডিওবাংলানেট-কে জয়ন্তদীপ জানালেন, “কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাস মানুষের ওপর কি প্রভাব ফেলতে পারে, তাই নিয়েই আমাদের নাটক।”
যে আগুন নেভে না
ধনকুঁন্দরায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক ব্যানার্জী, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, রাহুল বোস ও প্রবাল চক্রবর্তী। সঙ্গীত অর্ণব দাস, আলো প্রক্ষেপণে শুভজিৎ দে।
২৫ অক্টোবর মধুসূদন মঞ্চে অভিনীত হবে ধনকুঁন্দরা। ওই একই দিনে তিলজলা ঋতুর অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্বকে সম্মাননা প্রদান করবে এই সংস্থা।