মঞ্চস্থ হল বাংলার প্রথম ইমারসিভ থিয়েটার ’৩২ অশ্বিনী দত্ত রোড’

কলকাতা: মঞ্চে উঠে দর্শকদের সামনে অভিনয় নয়। এ নাটক চলাকালীন দর্শক নিজেই অভিনয়ের অংশ হয়ে ওঠেন। কখনও বা মূল নাটকের চরিত্রও হয়ে ওঠেন তাঁরা। আর তাঁদের ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকে গল্প, হয় দৃশ্যান্তর।

প্রথাগত মঞ্চে এ নাটকের অভিনয় সম্ভব নয়। তাই একটা গোটা বাড়িকে কেন্দ্র করে সেখানেই সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল বাংলার প্রথম ইমারসিভ থিয়েটার ’৩২ অশ্বিনী দত্ত রোড’। বাড়ির ঠিকানার নামেই নাটকের নাম। পুরনো কলকাতার একটি একান্নবর্তী পরিবারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এই নাটকের গল্প। বিষয় ও ভাবনায় আন্তঃসাংস্কৃতিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুপর্ণা দত্ত, শুভশ্রী প্যাটেল, ইন্দ্রায়ূধ সরকার, ইপ্সিতা সেনগুপ্ত, অর্ক গোস্বামী, স্বেতা দে, মধুন্তী বসু, সেরা ঘোষাল মুখার্জীশর্মী চক্রবর্তী ও পৃথা বিশ্বাস।

৩২ অশ্বিনী দত্ত রোড বাড়িটায় ঢোকামাত্রই ইমারসিভ থিয়েটারের প্রথম আঁচটা পাওয়া যায়। বাড়ির মেজ মেয়ে ইমনের বন্ধু মিনি (মধুবন্তী) গিটার বাজিয়ে গান শুনিয়ে দর্শককেও সামিল করে নেন অভিনয়ে। বাড়ির আশ্রিতা কুরচি (পৃথা) অতিথিদের ডেকে নিয়ে যায় দোতালায় যেখানে এই নাটকের বাকি অংশ অভিনীত হয়ে চলেছে। ভালোলাগার আড়ালে একান্নবর্তী পরিবারের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতাও বেড়িয়ে পড়ে নাটক যত এগোতে থাকে।

ছোটদের জন্য ছবি প্রযোজনায় এগিয়ে এলেন গ্রামের সাধারণ মানুষ

কি ভাবে পেলেন এই ধরণের নাটকের পরিকল্পনা?

রেডিওবাংলানেট-কে সুজয় জানালেন, “টরেন্টোতে আমি প্রথম ইমারসিভ থিয়েটার দেখি। ১৯২৬ সালে টরেন্টোর মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই ছিল সেই নাটকের পটভূমি। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল, যদি কোনওদিন সুযোগ পাই নিজের শহরে এরকম একটা নাটক মঞ্চস্থ করব।”

এই নাটকের মাধ্যমে কলকাতার ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া একান্নবর্তী পরিবার আবার শহরে ফিরে তো এলই, সঙ্গে দর্শকও সাক্ষী থাকলেন বিরল এক অভিজ্ঞতার। বাঙালি রীতি মেনে  অভিনয়ের শেষ পাতে অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টিমুখেরও ব্যবস্থা করেছিলেন আয়োজকরা।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *