‘হাওয়া’র ঝড়ে উড়ে যেতে রাজি নন চঞ্চল
RBN Web Desk: গত কয়েকদিন হলো কলকাতায় প্রবল বেগে হাওয়া বইছে। তবে এ হাওয়া প্রাকৃতিক নয়, একান্তই বিনোদনের। এক সপ্তাহ হলো শহরে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশের বেশ কিছু ভালো ছবি নিয়ে এবারের উৎসব শুরু হলেও পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ ছবি নিয়ে উন্মাদনা শুরু থেকেই ছিল তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি মুক্তি পাবে না জেনে কয়েক মাস আগে হতাশ হয়েছিলেন অনেকেই। তাদের সকলের কাছেই এবারের চলচ্চিত্র উৎসব ছিল সুবর্ণ সুযোগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নন্দনে লাইন দিয়ে প্রেক্ষাগৃহ ভরিয়েছেন উৎসাহী দর্শক।
থ্রিলারধর্মী এই ছবির কাহিনী মূলত জেলে মাঝিদের নিয়ে। পরিচালকের প্রথম ছবি হলেও অভিনয়ে রয়েছেন তারকা অভিনেতারা। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় দুই বাংলার মানুষের কাছেই আদরণীয়। এই ছবিতে তিনি নৌকার সর্দার চান মাঝির ভূমিকায় রয়েছেন। তার নির্দেশমতো চলে উরকেস, পারকেস, ফনি, নাগু, মোরা এবং এজা। আর আছে ইবা। যে চানের অনুগত না হলেও নৌকার সদস্য। একদিন মাছ ধরার জালে ধরা পড়ে এক যুবতী নারী। সে ধরা পড়ার কিছুদিনের মধ্যে পাল্টে যায় নৌকায় থাকা পুরুষকর্মীদের মধ্যেকার সমীকরণ। সকলেই তাকে পেতে চায়। এদিকে নৌকায় ঘটতে থাকে একের পর এক অঘটন।
আরও পড়ুন: শেষ দৃশ্যে ভাঙা হোল্ডার, সত্যজিতের জয়জয়কার
ছবির কাহিনীর চেয়েও বেশি প্রশংসিত হয়েছে ক্যামেরার কাজ এবং অভিনয়। এই প্রশংসার মধ্যমণি অবশ্যই চঞ্চল। তিনি নিজে প্রতিটি শোয়ে হাজির থেকে দর্শকের সঙ্গে কথা বলছেন। ফলে ছবি দেখার সঙ্গে প্রিয় তারকাকে ছুঁয়ে দেখার আগ্রহও কিছু কম নয়। উৎসব শুরু হওয়ার পর দর্শকের চাপে বাড়ানো হয়েছে শোয়ের সংখ্যাও। তবে ছবির হাওয়া কলকাতায় ঝড় তুললেও চঞ্চল তাতে চঞ্চল হচ্ছেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চঞ্চল জানিয়েছেন, এই হাওয়া যে এত জোরে বইছে সেটা সিনেমাশিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের জন্য খুব সুখবর। বাংলা ছবির জন্য এ বড় আশার কথা। বাংলাদেশ থেকে এই হাওয়া এসে এখন কলকাতায় বইছে বলে আনন্দিত তিনি।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
বাংলা ছবি আগের থেকে অনেক বেশি সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন চঞ্চল। তবে ‘হাওয়া’র জনপ্রিয়তাকে তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য বলে মানতে নারাজ চঞ্চল। যে কোনও ছবির কাজের ক্ষেত্রেই দর্শকের ভালো লাগবে এই আশা নিয়েই এগিয়ে যান বলে জানালেন তিনি। হাওয়ার এই সাফল্য গোটা টিমের বলেই মনে করেন চঞ্চল। এপার বা ওপার বাংলা নয়, বরং বাংলায় যে কোনও ভালো ছবিই বাঙালির সাফল্য হিসেবে দেখতে চান তিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত প্রশংসা বা অতিরিক্ত নিন্দা কোনওটাই তেমন গায়ে মাখেন না চঞ্চল। নিজের জায়গাটা তিনি নিজেই জানেন, তাই ‘হাওয়া’র দাপটে ভেসে না গিয়ে আগামীদিনে আরও ভালো কাজ করতে চান বলে জানালেন চঞ্চল।
ছবি: টিবিএসনিউজ়