প্রাপ্তবয়স্ক তকমা নিয়েই মুক্তি পেল ‘এলএসডি’
RBN Web Desk: প্রাপ্তবয়স্ক, অর্থাৎ ‘এ’ লেবেল নিয়েই মুক্তি পেল ‘এলএসডি’। ছবিতে কোনওরকম আপত্তিকর দৃশ্য ও সংলাপ না থাকা সত্বেও সেন্সর বোর্ডের তরফে সাত-আটটি সংলাপ ও টাইটেল ট্র্যাকের কিছু কথা বদল করতে বলা হয় বলে অভিযোগ প্রযোজনা সংস্থার। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহম চক্রবর্তী ও সায়নী ঘোষ। ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এ বিষয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তাঁরা।
প্রযোজনা সংস্থার দাবি, ছবির একটি সাংলাপেও কোনও অশ্লীল বা অনৈতিক শব্দ ছিল না। বরং কিছু ধর্মীয় নামের সঙ্গে জড়িত প্রবাদ বা কথার মাত্রা ছিল যা বাংলার সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকেন। তাই সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে ‘এ’ লেবেল দিয়ে মুক্তির কথা বলে। সেন্সর বোর্ডের কথামতো বদল করার পরে ৭ ফেব্রুয়ারি সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গেলেও প্রযোজকের কাছে তা পাঠাতে অযথা দেরি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে প্রযোজনা সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘একলা ঘর’-এর সন্ধানে ঋষভ-ঐশ্বর্য
“সেন্সর বোর্ডের নির্মম আচরণের শিকার হয়েছে আমাদের ছবি,” বললেন সোহম। “চারপাশে যে অদ্ভুত এক অবস্থা চলছে তার প্রভাব থেকে ইন্ডাস্ট্রিও আর মুক্ত নয়। সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য পার্থসারথি চৌধুরী, অদ্ভুত কিছু অভিযোগ এনে ছবিটিকে আটকে দিতে চেয়েছিলেন। ‘ওভারডোজ়’ ও ‘হ্যালুসিনেশন’ এই দুটি শব্দের জন্য পুরো গানটাই বাদ দিতে হয়েছে। এই শব্দগুলো কোনদিক দিয়ে অনৈতিক বা অশ্রাব্য সেটা আমাদের অজানা। ‘কৃষ্ণ করলে লীলা’ বা ‘রাধে রাধে’র মতো সাধারণ শব্দও নাকি রাখা যাবে না।”
সাংবাদিক বৈঠকের আধঘণ্টার মধ্যেই পরিচালকের হাতে সেন্সরের ছাড়পত্র এসে পৌঁছয়। নির্ধারিত দিনেই— ১০ ফেব্রুয়ারি—ছবিটি মুক্তি পায়।
তবে সেন্সর বোর্ডের চাপে অনেক বদল করার পরেও ছবির ওপর থেকে ‘এ’ লেবেল তোলা হয়নি বলে সোহমদের অভিযোগ। এছাড়া দেরিতে সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার ফলে প্রথম সপ্তাহে ছবিটি নন্দনে দেখানো সম্ভব হয়নি। ফলে ছবিটিকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানালেন সোহম।
“এটা স্পষ্ট যে এই সবই করা হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে। ছবিতে সত্যিই আপত্তিকর কিছু আছে কিনা সেটা এবার দর্শক বলবে,” বললেন তিনি।