কাজ বন্ধ ভূমিকন্যার, প্রশ্ন যৌথ কমিটি নিয়ে
RBN Web Desk: শ্যুটিং বন্ধ ভূমিকন্যার। দাবী, পাল্টা দাবীর মাঝে আপাতত এই ধারাবাহিকের নতুন কোনও পর্বের কাজ হচ্ছে না। প্রযোজক অরিন্দম শীলের অভিযোগ, পারিশ্রমিক বাকি, এই অজুহাতে কাজ বন্ধ করেছেন কলাকুশলীরা। এদিকে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ন্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার দাবী, বকেয়া পারিশ্রমিক চাইতে গেলে অরিন্দম নিজেই বন্ধ করে দেন শ্যুটিং।
প্রযোজকদের এখন বেছে-বেছে টার্গেট করে করা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমকে বললেন অরিন্দম। শ্যুটিং বন্ধ হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে, যদিও আর্টিস্টদের পেমেন্ট বন্ধ করেননি তিনি, দাবী অরিন্দমের। এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে ১২ দিন অন্তর বেতন মেটানো হয়। সেটাই তিনি জানিয়েছিলেন যে আজ অথবা কালকের মধ্যে মিটিয়ে দেবেন। এছাড়া আর অন্য কোনও টাকা বাকি নেই। একটা দৃশ্যের শেষ দুটি শট বাকি ছিল। কিন্তু ফেডারেশন সেটাও করতে দেয়নি। তবে দর্শক বঞ্চিত হবেন না, কারণ হাতে যথেষ্ট সংখ্যক এপিসোড আছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তবে আশঙ্কার কথা, এরা মুখ্যমন্ত্রীকেও পাত্তা দেয় না, বললেন ভূমিকন্যার প্রযোজক।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
ফেডারেশনের তরফে স্বরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, টেকনিশিয়নরা অরিন্দমবাবুর কাছে জানতে চেয়েছিল কবে টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু উনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। পাওনা টাকা চাওয়া তো কোনও অন্যায় নয়। এটা যদি ওনার উস্কানি বলে মনে হয়, তাহলে আমাদের সত্যিই কিছু করার নেই, দাবী স্বরূপবাবুর।
Advertisement
আগস্টে শিল্পী সংস্থা আর্টিস্ট্স ফোরাম ও প্রযোজকদের সংগঠন ওয়েলফয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসার্সের বিবাদের জেরে ছ’দিন কাজ বন্ধ ছিল প্রায় সবকটি ফিকশন-ভিত্তিক ধারাবাহিকের। বিপুল টাকার লোকসানও হয় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটলেও, টেলিপাড়ায় শ্যুটিং ফের বন্ধ হতে পারে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায়নি কখনওই। মুখ্যমন্ত্রী যুযুধান সব পক্ষকে নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন ২৩ আগস্ট, তৈরি করে দেন একটি যৌথ কমিটি, যার মধ্যে রয়েছেন সব পক্ষের প্রতিনিধি। সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে টেলিপাড়ার কাজ সংক্রান্ত সমস্ত কিছু দেখভাল করার দায়িত্ব এই কমিটির।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
সূত্রের দাবী, যে কারণগুলির জন্য স্টুডিয়োপাড়ায় কাজ বন্ধ ছিল, তা যৌথ কমিটি তৈরি হওয়ার পরও অমিমাংসীতই থেকে গেছে। প্রায় ১৫ দিন কেটে গেলেও, আজ পর্যন্ত একবারও সভা ডাকা হয়নি এই কমিটির। অরিন্দম ও স্বরূপ দুজনেই ব্যাক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ট। তা সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা যদি থেকেই যায়, তাহলে যৌথ কমিটি করে লাভ কি হল, এখন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।