স্বপ্নীল সজীবের উদ্যোগে নিউ ইয়র্কে বর্ষবরণ
RBN Web Desk: চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিন পালিত হয় নববর্ষ, বাংলার নতুন বছর। বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির মনে এই দিনটি ঘিরে বিশেষ উন্মাদনা রয়েছে। তা সে বাঙালিরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, উদযাপনে খামতি রাখেন না। তেমনই একটি স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাঙালিরা। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন শাহ এবং হাসন রাজার গানে-গানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল চারিদিক। সমগ্র অনুষ্ঠানের কাণ্ডারী ছিলেন স্বপ্নীল সজীব (Shwapnil Shojib)।
বাংলাদেশের ফরিদপুরে স্বপ্নীলের জন্ম, বর্তমানে নিউ ইয়র্কে থাকেন। বিদেশের মাটিতে রবীন্দ্রনাথ, লালন কিংবা হাসন রাজার মতো কবিদের গান গাওয়া অত্যন্ত গর্বের বলে মনে করেন তিনি। স্বপ্নীল জানালেন, “এই গানগুলো তো কেবল সঙ্গীত নয়, এ হল সাধনা। বাংলাদেশের মাটি, আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে আমাদের নাড়ির টান আরও মজবুত করে। তাই দেশ থেকে হাজার-হাজার মাইল দূরে, পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে এভাবে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে পেরে আমরা সকলেই আপ্লুত। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করে দেওয়াও আমাদের কর্তব্য।”
আরও পড়ুন: তিলোত্তমার ভূমিকায় পায়েল, আবার উঠবে ‘প্রশ্ন’
অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নুরুল আমিন বাবু এবং বিশ্বজিৎ সাহা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ১৯৯০ সাল থেকে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন এই দু’জন। তাঁদের উদ্যোগেই কুইন্সে বাংলা বইমেলা এবং টাইমস স্কোয়ারে বাংলা নববর্ষ উদযাপন এখন ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্যে সেখানকার গভর্নর ক্যাথি হোকুল, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেট চেম্বারে বিশেষ এক সম্বর্ধনার আয়োজন করেন। প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে যা মিলনমেলায় পরিণত হয়। সাংস্কৃতিক ওই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির নানা দিক বিশ্বমঞ্চে উঠে আসে।