কাটল জট, শুরু হলো ‘কৃষ্ণকলি’ ও অন্যান্য ধারাবাহিকের শুটিং
RBN Web Desk: অভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটে যাওয়ায় পুনরায় শুরু হলো ‘কৃষ্ণকলি’ সহ একাধিক ধারাবাহিকের শুটিং। গতকাল পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিবাদের কারণে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়নস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।
১৭ মার্চ ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান যে করোনা ভাইরাসের কারণে ১৯ থেকে ৩০ মার্চ বন্ধ থাকবে সব বাংলা ধারাবাহিকের কাজ। কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ হয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। এর ফলে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করা টেকনিশিয়নদের কথা ভেবে তাঁদের জন্য এককালীন অর্থসাহায্যের ঘোষণা করে বেসরকারি বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলি। পরবর্তীকালে শুটিং শুরু হলেও গতকাল ফেডারেশন অভিযোগ করে, প্রতিশ্রুতি মতো চ্যানেলের কাছ থেকে সেই টাকা এখনোও তাঁদের সদস্যরা পাননি।
আরও পড়ুন: ছবির পর্দায় প্রথমবার একসঙ্গে ঐন্দ্রিলা-অঙ্কুশ
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আচমকা শুটিং বন্ধের নির্দেশে অবাক হয়ে যায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। টেকনিশিয়নরা চ্যানেলের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দিনে তাঁদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। কাল রাতেই দুই পক্ষের সমস্ত সমস্যা মিটে যাওয়ায় শুটিং শুরুর ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ১১ জুন থেকে নতুন করে ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হওয়ার সময় থেকেই শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিমার অনিশ্চিয়তা নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়। এরপর সমস্ত নিয়ম মেনে শুটিং শুরু হলেও, বেশ কিছু শিল্পী কয়েকদিনের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হন। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের অভিনেতা ভিভান ঘোষ, ‘কনে বউ’-এর নেহা আমনদীপ, ‘সিংহলগ্না’র মেকআপ শিল্পী দীপঙ্কর রায় সহ আরও ১১ জন কলাকুশলী ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত। এর ফলেই গতকাল স্বরূপ দাবি জানিয়েছিলেন যে এই পরিস্থিতিতে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের করোনা বিমা থাকা অত্যন্ত জরুরি।