পুজো শেষ হতেই মুক্তি পেল ‘আসছে বছর আবার হবে’
RBN Web Desk: বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো মানে নস্টালজিয়া। কলকাতার বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি তাই এই দুর্গাপুজোর সময় তাদের শিকড় খুঁজতে জড়ো হন শহরের বুকে। পাঁচদিনের আনন্দের পর আবার কাজে ফিরে যান তাঁরা। দশমীতে মায়ের বিদায়ের আগেই শুরু হয়ে যায় ব্যাগ গোছানোর পালা। বাড়ি ফাঁকা করে চলে যান প্রায় সকলেই। পড়ে থাকে ফাঁকা বাড়ি, প্রদীপবিহীন ঠাকুরদালান। বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মানুষটি দু’চোখ ভেজা চোখ নিয়ে অপেক্ষা করেন পরের বছরের। হয়তো মনে মনে বলেন, ক’টা তো মাত্র দিন, দেখতে দেখতে কেটে যাবে।
তাই এবার শারদোৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই কলকাতার এক বনেদি বাড়ির পুজোর গল্প নিয়ে পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরী তৈরী করেছেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘আসছে বছর আবার হবে’। দক্ষিণ কলকাতার শতাধিক বছরের পুরোনো এক বাড়ির দুর্গাপুজোর কথা সায়ন তুলে ধরেছেন তাঁর ছবিতে।
আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে
‘আসছে বছর আবার হবে’-তে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা পাঁচ ভাইবোনেরা আড্ডা দেয় শুধুমাত্র একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটে। ছোটবেলায় একসঙ্গে খেলাধুলা, হাসি মজার দিনগুলো বর্তমানে ইংরেজির ২৬টি অক্ষর আর ইমোজিতে বাঁধা। প্রতিবছর তাই বড়দা, দাদাই, মিনি, লিলি এবং পদ্মিনী, এই পাঁচজন একত্রিত হয় তাদের কলকাতার বাড়ির দুর্গাপুজোর প্রাঙ্গনে। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই সাবেকি বাড়িতে থাকেন মাত্র দুটি মানুষ, দাদু এবং মিলি। কিন্তু এইবার দুর্গাপুজোর সময় এই পাঁচ ভাইবোন জানতে পারে তাঁদের এই পুরোনো বনেদি পুজো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দাদু তাদের জানিয়ে দেন তাঁর পক্ষে এই পুজো এবং এই পুরোনো বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভবপর নয়। এই বাড়ি বিক্রি করে দিতে চান তিনি। তাই চিরকালের মতো বন্ধ হয়ে যাবে সাবেকি এই পুজোও। দাদুর কথা শুনে মন ভেঙে যায় পাঁচ ভাইবোনের। অনেক বুঝিয়েও দাদুকে কিছুতেই রাজি করাতে পারে না তারা। এখান থেকেই অন্য দিকে মোড় নেয় ছবির গল্প।
‘আসছে বছর আবার হবে’তে অভিনয় করেছেন দেবজয় মল্লিক, অরুণাভ দে, তানিশা চট্টোপাধ্যায়, তৃষা চক্রবর্তী, অন্তরা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা ঘোষ, অভিরুপ চৌধুরী, তোষান চক্রবর্তী, অঞ্জন বসু চৌধুরী এবং তাপস চক্রবর্তী। ছবিটির সৃজনশীল প্রযোজনার দায়িত্বও সমালেছেন তাপস। ঋতম সেনের কথায় ‘আজও তাকে মনে পড়ে’ গানটি গেয়েছেন তৈষী নন্দী।
সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে ‘আসছে বছর আবার হবে’।