পরিচয় আর পরিণয়ে জয়-মধুমিতার ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’
RBN Web Desk: সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় সেখান থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম তারপর পরিণয়। এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে দেখেশুনে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র বা পাত্রীর অভিবাবকরা এখন শুধুমাত্র পাড়ার ঘটক বা খবরের কাগজে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর করেন না। বিয়ের বাজারে ছেলেমেয়ের পরিচয়লিপি বৃহত্তর জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দেন। শুধুমাত্র নিজের শহর, রাজ্য, দেশ নয়। দেশের বাইরে বসবাসকারী বিবাহযোগ্য পাত্রপাত্রীর অফুরন্ত ভাণ্ডার হলো এই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যা হয় আলাপ পরবর্তী সময়ে পাত্রপাত্রীর কাজ, চরিত্র ও পরিবার-পরিজন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।
পৃথা এবং ঋদ্ধিমানের সম্পর্কটাও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকে শুরু। মফস্বলের সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে পৃথার, বেসরকারি অফিসে কর্মরত বেঙ্গালুরু নিবাসী ঋদ্ধিমানের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের সময় অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার কারণে দুমাসের মধ্যেই অফিস থেকে ঋদ্ধিমানের হাতে গোলাপী খাম ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ঋদ্ধিমান ভেঙে পড়লেও, পৃথার মা-বাবা মনে-মনে বেশ খুশি হয়। একমাত্র মেয়ে-জামাই কে তারা কাছেই রাখতে চায়।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
ঘটনাক্রমে দুমাসের মধ্যেই মারা যায় পৃথার বাবা-মা এবং তাদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয় পৃথা। সম্পত্তির নমিনি হিসেবে পৃথাও স্বেচ্ছায় ঋদ্ধিমানকে মনোনীত করে। এর কিছুদিন পরেই একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে পৃথার কাছে ফোন আসে। পৃথা জানতে পারে যে তার বাবা-মার মৃত্যুর জন্য দায়ী ঋদ্ধিমান। সে বিষ প্রয়োগ করে তাদের খুন করেছে।
ঋদ্ধিমানকে সব কথা জানালেও পৃথা আস্তে-আস্তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে থাকে। ক্রমাগত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করতে থাকে পৃথা। ওদিকে ঋদ্ধিমান তার যথাসাধ্য দিয়ে পৃথাকে সুস্থ করার চেষ্টা করে। এমনকি পৃথাকে নিয়ে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শও করে। কিন্তু পৃথার আত্মহত্যায় ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।
বাবা-মায়ের মৃত্যু এবং তার সঙ্গে ঋদ্ধিমান-যোগ, পৃথার মনে চলতে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব শেষ হয় পৃথার মৃত্যু দিয়ে। কিন্তু ঋদ্ধিমান? ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে হাজার-হাজার মুখের মধ্যে থেকে উঠে আসা বেঙ্গালুরুর ঋদ্ধিমানের গল্প শোনাতেই আসছে সন্দীপ সরকারের ছবি ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
এই ছবির কাহিনী এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন মধুমিতা সরকার। পৃথার চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয় সেনগুপ্ত, চন্দন সেন, মিঠু চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।
২৬ জুন ‘ক্লিক’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’।