‘ঐন্দ্রিলার বিপরীতে কাজ করতে বেশ অসুবিধাই হয়’

পুজোয় মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘এফআইআর’। জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে অঙ্কুশ হাজরা ছাড়াও রয়েছেন ঋতাভরি চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত ও ফলক রশিদ রায়। ঋতাভরির সঙ্গে অঙ্কুশের এটাই প্রথম ছবি। তাঁর আগের ছবি ‘ম্যাজিক’-এ অঙ্কুশের বিপরীতে ছিলেন ঐন্দ্রিলা সেন। প্রেমেন্দু বিকাশ চাকির পরিচালনায় ‘লাভ ম্যারেজ’-এও রয়েছে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটি।

বাস্তব জীবনে ঐন্দ্রিলা অঙ্কুশের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে কতটা সুবিধা হয়?  “সুবিধার চেয়ে বরং অসুবিধাই বেশি হয়,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন অঙ্কুশ। “যদিও ‘এফআইআর’-এ ঋতাভরি ঠিক আমার বিপরীতে নেই, নায়ক-নায়িকার মতো গল্প এটা নয়, তবুও যে কোনও অচেনা নায়িকার সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ। কারণ ছবিতে যে ধরনের প্রেমের দৃশ্যে আমাদের অভিনয় করতে হয়, ঘাড় থেকে চুলটা সরিয়ে কাছে এগিয়ে গেলাম, বা মিষ্টি করে হাসলাম, এগুলো তো বাস্তব জীবনে আমরা করি না। সেখানে বড়জোর আমার গার্লফ্রেন্ডের গালটা টিপে দেব। এগুলোই বাস্তবে করে থাকি আমরা। তাই ওই দৃশ্যগুলো করার সময় ভীষণ হাসি পায়। কিছুতেই সিরিয়াস হওয়া যায় না। তার চেয়ে নায়িকা অচেনা হলে সুবিধা বেশি। এক টেকেই শট ওকে হয়।” 

আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ

বর্তমানে বড় পর্দায় ছাড়া ডিজিট্যাল মাধ্যমেও ছবি দেখানো হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে অভিনয়ের কি কোন তফাৎ হয়ে থাকে? “কিছু ক্ষেত্রে হয়, তবে সেটা ওয়েব বলে নয়,” বললেন অঙ্কুশ। “ওয়েবে বরং অনেককিছুই দেখানো যায় যেটা প্রেক্ষাগৃহে দেখানো মুশকিল। তবে আজকাল হলে কিছুদিন চলার পরেই বহু ছবির টেলিভিশন প্রিমিয়র হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কোনও বিশেষ দৃশ্য হয়তো টেলিভিশনে দেখানোর উপযুক্ত নয়, সেগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হয়। এমনও হয়েছে যে কোনও ভয়ঙ্কর একটা ভায়োলেন্সের দৃশ্য যেখানে প্রচুর খুনোখুনি বা রক্তপাত আছে, সেটা প্রেক্ষাগৃহের জন্য তোলার পরে আবার দ্বিতীয়বার একটু অন্যভাবে শট নেওয়া হয়, যাতে সেটা টেলিভিশনে দেখালে অতটাও ভয়াবহ না লাগে।” 




তবে কমেডি চরিত্রে বেশি কাজ করলেও আজকাল দর্শকের প্রতিক্রিয়ায় বেশ হতাশ অঙ্কুশ। “সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করা আসলে খুব সহজ। আমার ভালোও লাগে। খুব তাড়াতাড়ি পরিচালককে খুশি করা যায়। তবে আসল চ্যালেঞ্জ হলো কমেডি দৃশ্য করা,” বললেন তিনি। বর্তমানে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সঞ্চালক অঙ্কুশ। তবে দর্শককে হাসানো চিরকালই কঠিন বলে মনে করেন তিনি। “লোকে যেন আজকাল হাসতে ভুলে গেছে। একই দৃশ্য দেখে যেখানে পাঁচটা লোকে প্রচণ্ড হাসবে, সেখানে দুজন ঠিক মুখ বেঁকিয়ে বলবে, এটা একটা জোকস ছিল নাকি! আসলে কমেডি করা খুব চাপ। তবে এও ঠিক যে কাজটা ঠিকভাবে উতরে গেলে দর্শক যখন আনন্দ পান তখন সেই প্রাপ্তিটার কোনও তুলনা হয় না। সিরিয়াস চরিত্রের ইমপ্যাক্ট কিন্তু বেশিদিন থাকে না।” 

আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি

আগামী দিনে পাভেলের ‘মনখারাপ’ ও রাজা চন্দর ‘সেভিংস অ্যাকাউন্ট’ ছবিতেও তাঁকে দেখা যাবে।

ঐন্দ্রিলার ও তাঁর বিয়ের খবরের জন্য বহুদিন ধরেই দর্শক অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অঙ্কুশ জানালেন আগামী বছর বা হয়তো ২০২৩-এ বিয়ের কথা চিন্তাভাবনা করবেন তাঁরা। “বিয়ের জন্য অনেকটা সময় দরকার। যখন বেশ কয়েকমাস নিশ্চিন্তে ছুটি নিতে পারব তখনই ভাবব দুজনে। তার আগে নয়,” হেসে জানালেন তিনি­­­­।




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Swati

Editor of a popular Bengali web-magazine. Writer, travel freak, nature addict, music lover, foody, crazy about hill stations and a dancer by passion. Burns the midnight oil to pen her prose. Also a poetry enthusiast.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *