এবার দুঁদে পুলিশ অফিসার অনির্বাণ

RBN Web Desk: এবারে এক দুঁদে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে অনির্বাণ চক্রবর্তীকে। সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় ‘লালবাজার’ ওয়েব সিরিজ়ে এই চরিত্রে অভিনয় করছেন অনির্বাণ। তবে গোয়েন্দা কাহিনী নির্ভর কোনও সিরিজ়ে অনির্বাণের এটাই প্রথম অভিনয় নয়। এর আগে ‘একেনবাবু’র নামভূমিকায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। এছাড়াও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ফেলুদা ফেরত’ সিরিজ়ে জটায়ুর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।

বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বা পুলিশরূপেই কেন দেখা যাচ্ছে অনির্বাণকে? কোনও বিশেষ কারণ আছে কি? “না না, সেরকম কোনও ব্যাপার নেই,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন অভিনেতা। “গোয়েন্দা বা পুলিশের ভূমিকায় বেশি অভিনয় করলেও আমার অভিনীত প্রতিটি চরিত্র ভীষণভাবে ব্যতিক্রম। ‘লালবাজার’এ আমার চরিত্রটির নাম গৌরাঙ্গ বিশ্বাস। সে প্রকৃত অর্থে মান ও হুঁশ সম্পন্ন একজন মানুষ। সংবেদনশীল হলেও প্রয়োজনে কঠোর হতে দ্বিধা করে না।”

আরও পড়ুন: সিনেমার মতোই ছিল যে জীবন

একটা শহর আদৌ কতটা বসবাসের উপযোগী তা বোঝা যায় সেখানে ঘটে যাওয়া অপরাধের সংখ্যা থেকে। যে কোনও শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব প্রধানত সেখানকার পুলিশের। কিন্তু তা সত্বেও সবসময় অপরাধ এড়ানো যায় না। ক্রাইমের অন্ধকার গ্রাস করে শহরের কানাগলি। ঠিক সেইসময় ডাক পড়ে গৌরাঙ্গ, আনিসুর, রিজু ও মীরার। সিনিয়র ইন্সপেক্টর সুরঞ্জন সেনের তত্ত্বাবধানে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের এই পাঁচ পুলিশ অফিসারকে নিয়েই সায়ন্তন তৈরি করেছেন ‘লালবাজার’।

“গৌরাঙ্গ চরিত্রটা ভিতর থেকে কোথাও যেন একটু লাজুক প্রকৃতির। তবে সে স্পষ্টবাদী। চরিত্রটা আমার ভালো লাগার একটা বিশেষ কারণ হলো গৌরাঙ্গ একমাত্রিক নয়। আমরা তো পুলিশ মানেই হয় ভীষণ রাগী অথবা ঘুষখোর জেনে এসেছি। কিন্তু প্রত্যেকের মধ্যেই আলাদা কিছু মানবিক বোধ থাকে যেগুলো আমি গৌরাঙ্গের মধ্যে পেয়েছি,” বললেন অনির্বাণ।

দুঁদে পুলিশ‘লালবাজার’-এ, বিজয় সিংয়ের সঙ্গে

পুলিশের নীচু পদ থেকে ধাপে-ধাপে উন্নতি করেছে গৌরাঙ্গ। বিয়ের পর উত্তর কলকাতায় নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে তার সুখের সংসার। কিন্তু এত বছর পুলিশে চাকরি করার পরেও বীভৎস কোনও দৃশ্য দেখলে সে কুঁকড়ে যায়।

“চিত্রনাট্যটা শুনেই বুঝেছিলাম এটা কোনও একঘেয়ে ক্রাইম সমাধানের গল্প নয়। এই সিরিজ়ের এক একটি গল্পে একেক ধরণের অপরাধ দেখা যাবে। প্রচুর চরিত্র রয়েছে এখানে,” জানালেন অনির্বাণ।

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

পাঁচটি মুখ্য চরিত্রের অতীত কাহিনীও থাকছে ‘লালবাজার’-এ। কেন দেশী মদে আসক্ত পুলিশের বড়কর্তা সুরঞ্জন? আরেক অফিসার আনিসুরের বোনকে কেন মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল? কী এমন রহস্য রয়েছে টেলিভিশন সঞ্চালক মায়ার অতীতে? এ সবেরই উত্তর পাওয়া যাবে এই সিরিজ়ে। “প্রতিটি চরিত্রের জার্নিটা খুব ভালো করে বোঝানো হয়েছে এই সিরিজ়ে,” বললেন অনির্বাণ।  

এই সিরিজ়ের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক সেন, গৌরব চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্র, হৃষিতা ভট্ট, সুব্রত দত্ত, রব দে, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, অরিন্দোল বাগচী, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, দেবপর্না চক্রবর্তী ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।

আজ জ়ি ফাইভে বাংলা এবং হিন্দিতে মুক্তি পেয়েছে ‘লালবাজার’।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Gargi

Travel freak, nature addict, music lover, and a dancer by passion. Crazy about wildlife when not hunting stories. Elocution and acting are my second calling. Hungry or not, always an over-zealous foodie

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *