এখনও অনেক পথ চলা বাকি: অমিত কুমার
লন্ডন: তাঁর সঙ্গীতজীবন ফুরিয়ে যায়নি, বরং এখনও অনেক পথ চলা বাকি, এমনটাই বললেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অমিত কুমার। সম্প্রতি হাউজ় অফ কমন্স-এর তরফ থেকে ভারতীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য তাঁকে এক বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়। তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র লেখা একটি মানপত্রও।
বর্তমানে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে শো করছেন অমিত কুমার। ইন্দ্র ট্র্যাভেলস-এর সভাপতি সুরেশ কুমারের ব্যবস্থাপনায় দেশে ‘অমিত কুমার লেগাসি ট্যুর’ আয়োজনে সহযোগিতা করছে এয়ার ইন্ডিয়া ও রক অন মিউজ়িক। ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত অমিত কুমারের সবক’টি শো-এর ইন্টারনেট রেডিও সহযোগি রেডিওবাংলানেট। সংস্থার কর্ণধার জয় ভৌমিক এই ট্যুরে অমিত কুমারের সঙ্গী।
বাচ্চাদের নাচের রিয়্যালিটি শো নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার
হাউজ় অফ কমন্স-এ তাঁর সম্মাননা অনুষ্ঠানে অমিত কুমার বলেন, “গান আমার ফুরোবে না কোনওদিন। তবে ছবিতে গান গাওয়ার ইঁদুর দৌড় থেকে বহুদিন হল আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। ওসব আর ভালো লাগে না। নিজের সঙ্গীত প্রযোজনা সংস্থা নিয়েই এখন বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকি ।”
বড় পর্দায় ফের নিখিলেশ-বিমলা-সন্দীপের গল্প, মুক্তি পেল টিজ়ার
তবে তাঁর সঙ্গীতজীবনে বিভিন্ন সময়ে ওঠা পিতা কিশোর কুমারের সঙ্গে তুলনায় কোনওদিনই বিব্রত বোধ করেননি তিনি। “আমার সঙ্গীতজীবনে বাবার অবদান ভোলার নয়। তাঁকে অনুকরণ না করে আমাকে নিজস্ব গায়কীতে গান গাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাবা। একই উপদেশ দিয়েছিলেন প্রখ্যাত সুরকার রাহুল দেব বর্মণ। তাঁর কাছেও আমি চিরঋণী,” বললেন অমিত কুমার।
রাহুল দেব বর্মণ ছাড়াও, ভারতের সব প্রথম সারির সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন অমিত কুমার। এঁদের মধ্যে লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, বাপী লাহিড়ী, আনন্দ-মিলিন্দ ও রাজেশ রোশন অন্যতম।
ছবি: ভূপেন্দ্রসিং জেঠওয়া