বিশিষ্টজনদের স্মরণে উজ্জ্বল গিরিশ কারনাড

কলকতা: ভারতীয় শিল্প সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে অনেকাংশে দরিদ্র করে দিয়ে ১০ জুন প্রয়াত হন নাট্যকার, পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা গিরিশ কারনাড । তাঁকে ঘিরে শহরে সম্প্রতি এক স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন বাচিকশিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, আইসিসিআর, অনসম্বল কর্তৃপক্ষ ও এসপিসি ক্রাফ্ট। উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা সেন, সোহাগ সেন, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতা দত্ত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায় ও রত্নাবলী রায়ের মত ব্যক্তিত্বরা।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিত্র পরিচালক অপর্ণা গিরিশ কারনাডকে এক মহানুভব ব্যক্তিত্ব বলে বর্ণনা করেন। গিরিশের জীবনের নানাদিককে তুলে ধরেন তিনি। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যুবার্ষিকীতে অসুস্থ শরীর নিয়েও হাজির হয়েছিলেন অশীতিপর নাট্যকার, এই প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। নাট্য বিশেষজ্ঞ শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান নাট্যকার সোহাগ সেন। এছাড়া অতীতে গিরিশের নেওয়ার সাক্ষাৎকারের অভিজ্ঞতাও তিনি ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে।

তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে

রিচালক সঙ্গীতা দত্তর ‘লাইফ গোজ় অন’ ছবিতে গিরিশ ছিলেন অভিনেতারূপে। তিনি অভিনেতা গিরিশের স্মৃতিচারণ করলেন “নবজাগরণের মানুষ” বলে। রসিক মানুষ হিসেবে পরিচিত গিরিশের সঙ্গে ছবি তৈরির সময় কাটানো লন্ডনের দিনগুলির কথা উঠে এলো তাঁর কথায়। গিরিশের লেখা নাটক ‘হায়বদন’ ও পরে ‘তুঘলক’ নিয়ে কাজ করার অনুমতি নেওয়া ও পরে সেই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন বিশিষ্ট নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায়।

পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের কথায় উঠে আসে ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটক অবলম্বনে গিরিশ পরিচালিত ‘উৎসব’ ছবিটি কথা। নাট্যকার ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় গিরিশ রচিত ‘যযাতি’ নাটক থেকে পাঠ করে শোনান। সুপরিচিত মঞ্চ অভিনেত্রী সুকৃতি লহরী তাঁর অভিনীত ‘ভাঙা ভাঙা ছবি’ নাটক থেকে মঞ্জুলার ভূমিকায় অভিনয় করে দেখালেন যা গিরিশের লেখা ‘ব্রোকেন ইমেজ’ নাটক থেকে অনুপ্রাণিত।

সবশেষে সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়ের বক্তব্যে গিরিশের বর্ণময় ব্যক্তিত্বের কথা উঠে এলো, কেননা তাঁর মত মানুষকে শুধুমাত্র সংস্কৃতির পরিমন্ডলে বেঁধে রাখা যায় না।

ছবি: অর্ক গোস্বামী

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *