তিতলি করার সময় একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম: পায়েল সরকার
RBN Web Desk: পরিচালক মিলন ভৌমিকের ‘প্রশ্ন‘ ছবিতে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে মৃতা ডাক্তার ছাত্রী অভয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার (Paayel Sarkar)। তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম তিতলি। সেই চরিত্রে কাজ করার সময় ভীষণ কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি, জানালেন পায়েল।
“খুব ভয়াবহ এক সময় ছিল তখন,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন পায়েল। “খবরে একের পর এক তথ্য আসছে। চাইলেও না দেখে বা না শুনে থাকা যায়নি ওই সময়। একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি একা নয়, সকলেই এই অবস্থায় ছিলেন। ছবির অফার পেয়ে আমার প্রথমেই মনে হয়েছিল, এত তাড়াতাড়ি কেন। কিন্তু পরে মনে হলো কেন নয়! বরং এরকম একটা বিষয় নিয়ে ছবি করার জন্য মিলনদাকে কুর্নিশ জানানো উচিত ।”
ছবিতে তিতলি একজন ডাক্তারির ছাত্রী। বাবা-মায়ের সঙ্গে খুব সাধারণ, মধ্যবিত্ত জীবনযাপন তার। সৎ, নির্ভীক তিতলি কোনও অবস্থাতেই সত্যি বলতে ভয় পায় না। সেই সত্যি বলাই একসময় তার জীবনে বিপদ ডেকে আনে।
আরও পড়ুন: আবারও একসঙ্গে জন-অক্ষয়?
“এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আমাকে আলাদা করে কিছু হয়ে উঠতে হয়নি। আমরা সকলেই তো অভয়াকে চিনে গিয়েছি। সে কী, কেমন, এসব আমরা তখনই জানি। আর ভেতরে-ভেতরে প্রত্যেকে কোথাও মেয়েটির সেদিনের যন্ত্রণাকে অনুভবও করেছি, সেভাবেই চরিত্রটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল আমার মধ্যে। তবে সবথেকে কষ্টকর ছিল, খবরে যেগুলো বারবার শুনছি, সেগুলোই আবার শুটিংয়ে গিয়ে আমাকে করতে হচ্ছে। এটা রীতিমতো মানসিক চাপ ছিল,” বললেন পায়েল।
আরও পড়ুন: নারীর মানসিক দৃঢ়তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি
তাঁর মতে সমাজের কাছে বারবার প্রশ্ন তোলা উচিত আর কতবার এভাবে মেয়েদের অত্যাচারিত হতে হবে! পায়েল সরাসরি প্রশ্ন তুললেন, “কেন ধর্ষণের পর একটি মেয়ের চরিত্র বা পোশাক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হবে? কেন ধর্ষকের সম্পর্কে আলোচনা না করে ধর্ষিতার সম্পর্কে আলোচনা বেশি হয়? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই অপরাধের জন্য সাংঘাতিক কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়। এদেশে কেন হয় না আমার জানা নেই। এই সমস্ত কিছু নিয়েই প্রশ্ন ওঠা উচিত। এই ছবিতে এমন অনেক কথা উঠে আসবে। খুবই সিরিয়াস একটা ছবি, আমার মনে হয় দর্শকের একবার প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটা দেখা উচিত।”
ছবি: প্রতিবেদক