টেলিভিশনে সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে বাংলা থিয়েটার, খরাজ-সাহেবের দ্বৈরথ
RBN Web Desk: থিয়েটারের মঞ্চ থেকে টেলিভিশনের পর্দা। বাংলা রঙ্গমঞ্চে অভিনীত জনপ্রিয় থিয়েটার উঠে আসছে বাংলা ছবির হাত ধরে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সৃজনে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পুরোনো বাংলা নাটক দেখা যাবে টেলিভিশনে। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’ এই সিরিজ়ের প্রথম ছবি। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলেন মুক্তি পেল এই ছবির ট্রেলার। প্রসেনিজৎ ও কমলেশ্বর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, শাওলি চট্টোপাধ্যায়, সুজন নীল চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, অনির্বাণ চক্রবর্তী ও আরও অনেকে।
‘অ্যান্টনি কবিয়াল’-এর নামভূমিকায় রয়েছেন সাহেব। সৌদামিনি ও ভোলা ময়রার চরিত্রে দেখা যাবে যথাক্রমে শাওলি ও খরাজকে।
১৯৬৬ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয় বিধায়ক ভট্টাচার্যের লেখা ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’। এরপর কখনও সেই নাটককে কেন্দ্র করে, কখনও বা অ্যান্টনি চরিত্রটিকে নিয়ে তৈরী হয়েছে একাধিক ছবি।
“থিয়েটারকর্মী হিসেবে বরাবরই আমার থিয়েটারের প্রতি একটা আলাদা ভালোলাগা, ভালোবাসা রয়েছে। সেদিক থেকে এইভাবে সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে নাটককে দর্শকদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস আমার সেই ভালোলাগাটা আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে,” জানালেন সাহেব।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
মঞ্চে অভিনীত নাটক এবং টেলিভিশনের পর্দায় সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে নাটক, দর্শক এই দুটোকে আলাদা করবেন কীভাবে? উত্তরে প্রসেনজিৎ জানালেন, “নাটক যখন মঞ্চে অভিনীত হয় তখন দর্শক বিভিন্ন জায়গায় বসে আলাদা-আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখতে পান। সেটা মাথায় রেখেই আমরা শুটিংয়ের সময় তিনটি আলাদা ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। তাছাড়া প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত। তাই বেশ কিছু প্রযুক্তি এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে টেলিভিশনের পর্দায় দেখার সময় দর্শকদের মনে হবে তারা যেন কোনও থিয়েটার হলে বসে নাটকটি দেখছেন।”
দোহারের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’-এ অ্যান্টনি ও ভোলা ময়রার গানগুলি গেয়েছেন সাহেব ও খরাজ। প্রচলিত কথায় নতুন সুর করেছে দোহার।
‘অ্যান্টনি কবিয়াল’ ছাড়াও সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে দেখা যাবে ‘ব্যাপিকা বিদায়’, ‘জয় মা কালী বোর্ডিং’ ও ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’।
১৫ নভেম্বর রাত ৮টায় স্টার জলসা মুভিজ়ের পর্দায় দেখা যাবে ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’।