বাবার ছবির সংরক্ষণ নিয়ে হতাশ স্বস্তিকা
RBN Web Desk: তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের অভিনীত ছবির সংরক্ষণ নিয়ে হতাশ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক ছবির প্রচারে এসে এই হতাশা ব্যক্ত করলেন তিনি। তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় ১৯৭৫ সালে ‘সংসার সীমান্তে’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন সন্তু। এরপর একে-একে কাজ করেছেন তপন সিংহ, উত্তমকুমার, পূর্ণেন্দু পত্রী, গৌতম ঘোষ, প্রভাত রায়ের মতো পরিচাকদের সঙ্গে। পরবর্তীকালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, মৈনাক ভৌমিকদের ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
“আমাদের এখানে ছবি কেন আর্কাইভ করা হয় না আমার জানা নেই। আমার একার পক্ষে দৌড়াদৌড়ি করে এগুলো করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন স্বস্তিকা।
‘সংসার সীমান্তে’ ছবিতে সন্তু ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল দত্তের মতো শিল্পীরা। বিষয়ের দিক থেকে সেই ছবি আজও সমান প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন স্বস্তিকা। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে যে বছর ছবিটা দেখানো হয়, তিনি গিয়েছিলেন দেখতে। সেই অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর ছিল না।
আরও পড়ুন: বাইপোলার ডিসঅর্ডার থেকে চরম অবসাদ, হোমসে ‘ডুবে’ গিয়েছিলেন জেরেমি
“বাবার প্রথম কাজ বলেই ছবিটা বড়পর্দায় দেখার আগ্রহ ছিল,” বললেন স্বস্তিকা। “আর আমিই জানি কত কষ্ট করে বসে ছবিটা দেখেছি। প্রতি দু’সেকেন্ড অন্তর গোটা ফ্রেমটা ওপর থেকে নিচে কেঁপে যাচ্ছিল। একটা ফেস্টিভ্যালে এরকম একটা প্রিন্ট দেখানো হচ্ছে, যেটা রীতিমত যুদ্ধ করে দেখতে হয়। আমার সামনেই অনেক দর্শক উঠে চলে গেলেন, কারণ ওভাবে ছবি দেখা যায় না। আমার বাবার ছবি বলেই আমি বসে রইলাম। কিন্তু টিকিট কেটে সাধারণ মানুষ কেন এরকম একটা ছবি দেখবেন?”
ফিল্মস ডিভিশনের অন্তর্গত হয়েও কী করে একটা ছবির এমন অবস্থা হতে পারে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বস্তিকা।
“ফিল্মস ডিভিশনের অন্তর্গত এরকম আরও অনেক ছবির জন্য কেউ কেন কোনও উদ্যোগ নেন না? কোনও ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মেও দেখাবার ব্যবস্থা করা হয় না। এগুলো নিয়ে কীই বা বলব? নিজের পেশা ছাড়াও বাবা-মা চলে যাওয়ার পর সংসারের সবরকম দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হয়। আমি আমার রোজনামচার হাজারটা কাজ সামলাব নাকি এগুলো নিয়ে ছুটোছুটি করব?” হতাশা না চেপেই বললেন স্বস্তিকা।