‘সুর’ আমার কাছে প্রার্থনা সঙ্গীতের মতো: লোপামুদ্রা
RBN Web Desk: অন্তরের শান্তি হতেই বিশ্বশান্তির সূচনা, বলেছেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা। পৃথিবীর এই কঠিন সময়ে, চারপাশের নানা জটিলতায় মানুষের মনগুলোও কেমন যেন বিশাল ঝড়ে বিচ্ছিন্ন, পরিত্যক্ত দ্বীপের মতো একা। অদ্ভুত এক আঁধারের গ্রাসে গোটা পৃথিবী। অনিশ্চয়তার তারে বাঁধা জীবন থেকে যে সুরই কানে আসে সবই কেমন যেন বেসুরো। এমনই এক পরিস্থিতিতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আত্মশুদ্ধির ‘সুর’ নিয়ে এলেন লোপামুদ্রা মিত্র। শঙ্খমালা রায়ের কথায় ও সুরে সম্প্রতি মুক্তি পেল এই গান।
রেডিওবাংলানেট-কে লোপামুদ্রা জানালেন, “এইরকম একটা সময়ে যখন গোটা পৃথিবী জুড়ে নানারকম অস্থিরতা চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ‘সুর’ আমার কাছে প্রার্থনা সঙ্গীতের মতো। এটা পৃথিবীকে, মনকে শুদ্ধ করার গান। আসলে আমার পছন্দগুলো চিরকালই একটু অন্যরকম। আমি সবসময় আমার মতো করে একটা রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করি। সেটা গানের মধ্যে দিয়েই হোক বা অন্য যে কোনও কাজের মাধ্যমে। এই গানটার সঙ্গে কোনওভাবে আমার ওই আত্মিক যোগাযোগটা তৈরি হয়ে গেছে বলেই আমি এটা গাইতে পেরেছি।”
এর আগে নিজের জন্য গান লিখে থাকলেও এই প্রথম অন্য কোনও শিল্পীর জন্য কলম ধরলেন শঙ্খমালা।
“আমার মতো করে, আমার জন্য ভেবে ও যে গানটা তৈরি করেছে সেজন্য ওর কাছে আমি কৃতজ্ঞ,” বললেন লোপামুদ্রা। “এই গানটির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের মধ্যে ও সবচেয়ে ছোট এবং একেবারে নতুন। আমার যত গান আছে তার মধ্যে ‘যাও পাখি’, ‘আমার দেশ’, ‘আমার মতে তোর মতো কেউ নেই’, এই ধরণের গান করার অনেকদিন পর আবার আমার মনে হল ‘সুর’ একেবারে আমার জন্য, আমার মতো করে লেখা। এই গান আসলে এক আত্মশুদ্ধির মন্ত্র।”
আরও পড়ুন: সেরা প্রাপ্তি সঙ্গীত
গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন জয় সরকার, বাঁশিতে বুবাই নন্দী। প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন আশিষ কুমার দাস। মিক্সিং-মাস্টারিং করেছেন গৌতম বসু। ‘সুর’-এর ভিডিওর দৃশ্যপট সাজিয়েছেন উত্তম মন্ডল এবং নীলাঞ্জন মন্ডল। নীলাঞ্জন ছাড়াও ভিডিওটির সমগ্র পরিকল্পনা করেছেন অমৃত মুখোপাধ্যায়।
জীবন আসলে সাতটি শুদ্ধ ও পাঁচটি কোমল স্বরের সমষ্টি। কখনও সে খাদের পা থেকে কড়ি মধ্যম ছুঁয়ে তারার সা-তে এসে থিতু হয়। আবার কখনও উল্টোটা। এই স্বর থেকেই যত সুরের জন্ম। সে সুর শান্তির। শঙ্খমালার ‘সুর’-এ যেমন রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাব তেমন রয়েছে পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট বৌদ্ধমঠের অদ্ভুত প্রশান্তি। দুর্গা, কৃষ্ণ আর যীশুখ্রীষ্ট যে একই সুরে গাঁথা।