‘ত্রিনয়নী’ থেকে সরে দাঁড়ালেন সুজয় প্রসাদ
RBN Web Desk: ‘ত্রিনয়নী’ থেকে সরে দাঁড়ালেন সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ‘ত্রিনয়নী’তে বিবেক বা ভিকির চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকে তাঁর চরিত্রটি ‘মামাজী’ নামে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। নিজের মতো করে এই খলচরিত্রটিকে রূপ দিয়েছিলেন সুজয়।
“আসলে আমার নানাবিধ ব্যস্ততার জেরে আমি খুব বেশি সময় দিতে পারছিলাম না,” রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন সুজয়। “সপ্তাহে তিন-চারদিনের বেশি সময় বার করা আমার পক্ষে বেশ অসুবিধার ছিল। আমি ব্যাপারটা ওদেরকে জানাই। ওনারা সেই মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন। যদিও আমার পরিবর্তে কে আসছেন সেটা জানি না।”
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
কেমন লেগেছিল একজন আদ্যন্ত নেগেটিভ চরিত্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে? “আমি কিন্তু খুব উপভোগ করছিলাম চরিত্রটা,” বললেন সুজয়। “এরকম একটা চরিত্র যে কোনও অভিনেতার কাছেই খুব পছন্দের। আমার কাছে ভিকির কোনও ছবি তৈরী করে দেওয়া হয়নি। সাহানা (দত্ত) ও স্বর্ণেন্দু (সমাদ্দার) আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল নিজের মতো করে ভিকিকে তৈরী করে নেবার জন্য। আমি আমার আভিজাত্য, পর্যবেক্ষণ, মেধা, বুদ্ধিমত্তা, কল্পনা সবকিছুর মিশেলে ভিকিকে গড়ে তুলেছিলাম। আবার পরে যিনি আসবেন তিনি হয়তো অন্য এক ভিকিকে গড়ে তুলবেন। তবে ভিকি আমার কাছে খুব যত্নে প্রাণ পেয়েছিল এটুকু বলতে পারি।”
এক বছর সময়ের মধ্যে ভিকি চরিত্রের এই বিপুল জনপ্রিয়তার ভার কি নতুন অভিনেতা সামলাতে পারবেন? আগামী অভিনেতার প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে সুজয়ের বক্তব্য, “আমার বিশ্বাস এরপরে ওরা ভালো কোনও অভিনেতাকেই এই চরিত্রে আনবেন। তবে আমি তো থিয়েটারের অভিনেতা। সোহাগদি (সেন), সুদীপাদি (বসু) আমার গুরু। সেই শিক্ষা থেকে আমি আমার মতো করে চরিত্রটাকে সাজিয়ে নিয়েছিলাম। ধারাবাহিকের ভিলেনরা সাধারণত একটু মোটা দাগের হন। আমি আর যাই করি ওরকম লাউড অভিনয় করতে পারব না। তাই একটু অন্যরকম করে ভেবে নিয়েছিলাম চরিত্রটাকে। আমার সহঅভিনেতাদের সঙ্গে, বিশেষ করে দেবযানীর (চক্রবর্তী) সঙ্গে আমার অভিনয়ের রসায়ন এমন একটা পর্যায়ে ছিল যে আমরা জানতাম অন্যজন এবার কি করতে চলেছে,” বললেন সুজয়।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
অভিনেতার এরকম ঘোষণায় অনেকেই বলছেন ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ হয়তো এবার কমে যাবে। তবে সময়ের অভাবের জন্য সরে আসতে হলেও আগামীদিনে তিনি আবারও ধারাবাহিকে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানালেন সুজয়। “ভালো চরিত্র পেলে আমি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে রাজি। তবে ছবির ক্ষেত্রেও যেমন আমি একটু বেছে কাজ করি তেমনই এই ক্ষেত্রেও চরিত্রটা পছন্দের হতে হবে। মেগাসিরিয়াল করতে এসে ক্যামেরার অ্যাঙ্গল থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু শিখেছি আমি,” বললেন তিনি।
এই বছরের মাঝামাঝি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘বেলাশুরু’ ছবিতে দেখা যাবে সুজয়কে। ‘বেলাশেষে’র মতো এখানেও চরিত্রের নামগুলো এক থাকলেও ছবির গল্প হবে অন্যরকম। এছাড়া একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতেও তিনি অভিনয় করতে চলেছেন বলে জানালেন সুজয়।