পেশাদার মঞ্চে উঠে কোনওদিনই গাইব না: সুজয়
কলকাতা: “পেশাদার মঞ্চে উঠে কখনও গান গাইনি, আর কোনওদিন গাইবও না,” নিজের প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশের আগে এমনটাই বললেন আন্তঃসাংস্কৃতিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। কবিপক্ষে সুজয়ের গাওয়া চারটি রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রাকাশিত হতে চলেছে এই অ্যালবাম। গানগুলি হল, ‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে’, ‘কতবার ভেবেছিনু’, ‘যখন এসেছিলে’ এবং ‘ও যে মানে না মানা’। পরিচালক সত্রাজিত সেনের প্রযোজনায় প্রকাশিত হতে চলেছে এই অ্যালবামটি।
রেডিওবাংলানেট-কে সুজয় জানালেন, “অ্যালবাম করলাম মানে কিন্তু এই নয় যে কাল থেকে আমি মঞ্চে উঠে গানের অনুষ্ঠান করব। অনেকেই অনেকবার বলেছে গান রেকর্ড করতে কিন্তু সেভাবে আমি কখনও ভেবে দেখিনি। একবার একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সত্রাজিত ও মধুবন্তি বসুর সঙ্গে গান নিয়ে আলোচনা করতে করতে অ্যালবাম করার ব্যাপারটা মাথায় আসে।”
বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
ছোটবেলায় প্রমিত সেন, লিপিকা ঘোষের মত শিল্পীদের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন সুজয়। এছাড়া গীতা ঘটকের কাছেও বেশ কিছুদিন গান শিখেছেন তিনি। যদিও তিনি নিজেকে সঙ্গীতশিল্পী বলতে নারাজ। “রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার কাছে এক শান্তির আশ্রয়, এক ধরণের শুশ্রূষার মত। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারা একটা অন্যরকম প্রাপ্তি,” বললেন সুজয়।
গানগুলোর যন্ত্রানুসঙ্গ পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রজিত দে। সত্রাজিতের ‘মাইকেল’ ছবিতে সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মূলত ইউরোপিয়ান যন্ত্রানুসঙ্গের সাহায্যে রেকর্ড করা হয়েছে গানগুলো। ব্যবহার করা হয়েছে চেলো, পিয়ানো, ফ্লুট ও হারমোনিকা।
যে জন থাকে মাঝখানে
তবে এই মুহূর্তে রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া অন্য কোনও ধরণের গান গাইতে ইচ্ছুক নন বলে জানালেন সুজয়। তাঁর বাবার প্রয়াণ দিবসে গানগুলো রেকর্ড করার প্রসঙ্গে সুজয় জানালেন, “কিছুদিন ধরেই মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। তার মধ্যে বাবাকে আরও বেশি করে মনে পড়ছে কারণ তাঁর হাত ধরেই ছোটবেলায় গান শিখতে যেতাম। সেই স্মৃতিটা খুব বেশি করে উস্কে দিয়ে গেল এই গানগুলোর রেকর্ডিং।”