ব্যক্তি ঋতুপর্ণকে নিয়ে অহেতুক চর্চা বন্ধ হোক: সুদীপ্তা
RBN Web Desk: ব্যক্তি ঋতুপর্ণকে ঘোষকে নিয়ে অহেতুক চর্চা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। প্রয়াত পরিচালকের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরুণ রায়, অরিজিৎ দত্তরা।
সমাজের চোখ রাঙানিকে তুড়ি মেরে, চেনা গণ্ডির বাইরে সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতদূর বিস্তৃত, তা মধ্যবিত্ত বাঙালিকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। প্রেক্ষাগৃহ বিমুখ শহুরে বাঙালি দর্শককে হলমুখো করে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর একাধিক ছবি পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার। শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। তবে তাঁর কাজের ধরণ, জীবনযাপন থেকে শুরু করে ব্যক্তি ঋতুপর্ণকে নিয়ে দর্শকমনে কৌতূহল কম ছিল না।
আরও পড়ুন: শেষ যাত্রায় ব্রাত্য, পথ হেঁটেছিলেন মাত্র কয়েকজন
ঋতুপর্ণর ‘বাড়িওয়ালি’ ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুদীপ্তা। ওই ছবিতে অভিনয় করেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ‘মালতী’। এছাড়া ঋতুপর্ণর একটি টেলিফিল্মেও কাজ করেছিলেন তিনি।
“প্রতিবছর ৩১ আগস্ট প্রচুর ফোন আসে,” জানালেন সুদীপ্তা। “এত লোক ওঁর সম্পর্কে জানতে চায়, আমি বলতে বাধ্য হই যে মাত্র দুটো কাজের ভিত্তিতে পরিচালক ঋতুপর্ণ সম্পর্কে এত কথা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
তবে ঋতুপর্ণর সঙ্গে কাজের থেকেও তাঁর ব্যক্তিগত আদান-প্রদান অনেক বেশি ছিল বলে জানালেন সুদীপ্তা। “সেই যোগাযোগটা এতটাই ব্যক্তিগত যে সেগুলো সকলের সামনে তুলে ধরার মতো নয়,” বললেন তিনি।
আগামী প্রজন্মের কাছে ব্যক্তি ঋতুপর্ণ যেন চর্চার বিষয় না হয় এই অনুরোধ রেখে সুদীপ্তা জানান, “ঋতুদার ছবি, তাঁর কাজ বাংলা সিনেমার পাথেয় হোক। তাঁর কাজ নিয়ে চর্চা হোক, কাটাছেঁড়া হোক, সমালোচনা হোক। কিন্তু ব্যক্তি ঋতুপর্ণকে নিয়ে, তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে, তাঁর জীবন নিয়ে অনর্থক চর্চাটা এবার বন্ধ হোক।”
ছবি: গার্গী মজুমদার