‘কেউ এরকম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে নিতে ভালোই লাগে’
তাঁর অভিনীত ‘দুর্গা সহায়’, ‘গুমনামি’, ‘জ়ম্বিস্থান’ প্রতিটি ছবিই আলাদা ঘরানার। তিনি নিজেও প্রত্যেকটি ছবিতে একেবারে আলাদা অবতারে দেখা দেন। এতটাই আলাদা যে তাঁর অভিনীত একটি চরিত্রের সঙ্গে অন্যটির কোনও মিল পাওয়া যায় না। তাঁর আগামী ছবি ‘মায়া’তেও এক নতুন রূপে দেখা দিতে চলেছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। উইলিয়ম শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’ অবলম্বনে পরিচালক রাজর্ষি দের এই ছবিতে তনুশ্রী রয়েছেন লেডি ম্যাকবেথের ভূমিকায়। ছবিতে মৃণালিনী নাম তাঁর। মৃণালিনী নিয়ে কথা বললেন তনুশ্রী, শুনল রেডিওবাংলানেট।
কীভাবে গড়ে তুললে মৃণালিনীকে?
‘ম্যাকবেথ’-এর কোনও চরিত্রই কিন্তু সম্পূর্ণ সাদা বা কালো নয়। বরং সকলেই কিছুটা ধূসর। মৃণালিনীর চরিত্রটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এরকম কোনও চরিত্র আমি আগে পাইনি। তবে এরকম চ্যালেঞ্জ যখন কেউ দেয়, তখন নিতে ভালোই লাগে আমার।
আরও পড়ুন: বেহিসেবী জীবনযাপন, আজ স্মৃতির অতলে সৌমিত্র
পরপর প্রতিটি ছবিতে আলাদা ধরনের চরিত্রে কীভাবে প্রস্তুতি নাও?
আসলে আলাদা ধরনের চরিত্র করতে আমার ভালো লাগে। আমার একটু পড়াশোনা করে কাজ করার অভ্যেস আছে। প্রতিটা ছবিই এখনও আমার কাছে প্রথম ছবির মতো। এখনও ভালো চিত্রনাট্য পেলে আমি ভীষণ ইমোশনাল হয়ে যাই। স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে প্রচুর প্রশ্ন করে পরিচালককে পাগল করে দিই।
‘মায়া’য় তোমার বিপরীতে রয়েছে গৌরব চক্রবর্তী। অন্য দিকে রাজা ডানকান বা দরবার শর্মার ভূমিকায় রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
গৌরবের সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় ছবি। গৌরব ভীষণ ভালো কো-অ্যক্টর আর সাংঘাতিক ভালো মানুষও। তাই ওর সঙ্গে অভিনয় রসায়ন নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। আর কমলদার সঙ্গে প্রত্যেকটা সিন শেষ করে জিজ্ঞাসা করতাম, ‘ঠিকঠাক হচ্ছে তো?’ আসলে চিত্রনাট্য পাওয়ার পর একটা টেনশন তো থাকেই। ফ্লোরে এলে সেটা অনেকটা কেটে যায়। তবে এই চরিত্রটায় এতগুলো স্তর ছিল যে কাজটা করার সময় সত্যিই কঠিন লেগেছিল। আমি কঠিন চরিত্র পেলে এখনও বাড়িতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস করি। এটার জন্যেও করেছি।