জিনস পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়াকে কটাক্ষ, ক্ষোভের মুখে শ্রাবণী সেন

কলকাতা: জিনস পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়াকে কটাক্ষ করে শ্রোতাদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শ্রাবণী সেন। সম্প্রতি ‘দ্য ওয়াল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবণী বলেন, “শালীনতার বালাই নেই। জিনস পরে গাইছে ‘আনন্দলোকে’। বুঝুন ঠ্যালা। জিনস পরে এ গান হয় না কে বোঝাবে কাকে, কি শিখবে নতুন প্রজন্ম?”

বিশিষ্ট এই সঙ্গীতশিল্পীর দাবী, “এখনই একজন কড়া অভিভাবক দরকার, যিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে কোনও বজ্জাতি মেনে নেবেন না।” বিভিন্ন ব্যান্ড শিল্পীদের রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার ধরণকেও নিন্দা করেন তিনি।

শ্রাবণীর এই বক্তব্যে বেজায় চটেছেন শ্রোতারা। সাক্ষাৎকারটির পাঠকদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয়। একজনের প্রশ্ন, “রবিঠাকুরের গানের কি কোনও নির্দিষ্ট ড্রেসকোড আছে?”

টেলিভিশন থেকে বিরতি নিচ্ছেন ইন্দ্রানী হালদার

চাঁচাছোলা ভাষাতেও আক্রমণ শানিয়েছেন বেশ কয়েকজন। “জিনসের সঙ্গে গানের ঝগড়া বাধিয়ে লাভ নেই। ওতে গানের গায়কীতে ঘাটতি হয় না। যারা খাতা খুলে লাল পাড় শাড়ি পরে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করেন তাঁরা এক ধরণের মৌলবাদের শরিক,” বলেছেন একজন। অন্য এক পাঠকের জিজ্ঞাসা, “কখন কিভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইব সেটা উনি ঠিক করে দেবেন নাকি? রবীন্দ্রনাথ নিজেও এমন বস্তাপচা ধ্যানধারণা রাখতেন না।”

‘আমার মুখটাই একটা প্রশ্নচিহ্ন’

গায়কী নিয়ে কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য, “শ্রাবণী যেভাবে রাগসঙ্গীতের সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে মিশিয়ে গেয়েছেন তা অনুচিত হয়েছে। গায়িকা নিজেই তাঁর গানে যথেষ্ট ইম্প্রোভাইজ়েশন করেন, সেটাও রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বিকৃত করে।”

শ্রাবণীর বক্তব্যের সমর্থনও করেছেন কেউ কেউ, তবে তাঁদের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *