কেন ‘রঘু ডাকাত’, জানালেন পরিচালক
RBN Web Desk: বাংলার ঘরে-ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন উপকথা। ঠাকুর-দেবতা শুধু নয়, রয়েছে বিভিন্ন বাস্তবের চরিত্রকে নিয়েও নানা কল্পকাহিনীও। সেরকমই এক চরিত্র রঘু ডাকাত। বলা হয়, রঘু পেশায় ডাকাত হলেও সে কখনও কোনও গরিবের ভাত মারেনি। অত্যাচারী শাসক জমিদারদের বাড়িতে হানা দিয়ে ধনসম্পদ লুঠ করে সে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিলিয়ে দিত। এরকম কীর্তির জন্য সে অচিরেই ‘বাংলার রবিনহুড’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এবার বাংলার উপকথার সেই কিংবদন্তীকে বড়পর্দায় হাজির করতে চলেছেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধ্রুব তাঁর ছবির নাম রেখেছেন ‘রঘু ডাকাত’। এই ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন দেব। নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে নিয়ে নির্মিত ‘গোলন্দাজ’ ছবির সাফল্যের পর ধ্রুব ও দেবের এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জুটি বাঁধা।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
‘রঘু ডাকাত’ ছবিতে শুধু বাংলার উপকথা আর রূপকথার মিশেল ছাড়াও থাকছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও ইতিহাস। ধ্রুব নিজস্ব গল্প বলার মুনশিয়ানায় সবকিছুকে এক সূত্রে গাঁথবেন বলে আশা করা যায়। সোনাদা সিরিজ় হোক বা ‘গোলন্দাজ’-এর মতো খেলা-ভিত্তিক ছবি, বাঙালিয়ানার প্রকাশ আবারও ঘটতে চলেছে ‘রঘু ডাকাত’-এ।
হঠাৎ রঘু ডাকাতকে নিয়ে ছবি কেন?
“বাংলার যেসব গল্প দিনবদলের ধুলোর আস্তরণে চাপা পড়ে গিয়েছে, আমি সেই সব গল্পকে তুলে আনছি নতুন করে,” জানালেন ধ্রব। “এখনকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফলে গল্পগুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি দর্শককে বড়পর্দার মাধ্যমে সেই সময়ে নিয়ে চলে যাওয়া সম্ভব। আমরা নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে কাজ করছি যাতে বাংলা, তথা সারা ভারতের দর্শকমহলের কাছে ছবিটি গ্রহণযোগ্য হয়। এতে করে আমাদের দর্শক সংখ্যাও বাড়বে। আমাদের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে, কিন্তু নতুন কিছু করে দেখানোর উদ্যমের অভাব নেই। কাজেই, আগামীতে বাংলার নানা হারিয়ে যাওয়া গল্প দর্শকদের কাছে আনতে পারব।”
প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফেরাতে বড় মাপের ছবির উপরেই ভরসা রাখছে প্রযোজনা সংস্থা। এ ক্ষেত্রে ধ্রুবই তাঁদের বাজি।
২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ শুরু হবে ‘রঘু ডাকাত’-এর শ্যুটিং।