যেটা ভয় পেয়েছিলাম সেটাই করতে হলো: সৌরভ
RBN Web Desk: একটা সময় ‘তানসেনের তানপুরা’য় বিক্রম চট্টোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রটা দেখে বেশ ভয় পেয়েছিলেন বলে জানালেন অভিনেতা সৌরভ দাস। ‘তানসেনের তানপুরা’র সাফল্যের পর আলাপ-শ্রুতির জুটিকে নিয়ে নতুনভাবে আসতে চলেছে সঙ্গীতভিত্তিক থ্রিলার সিরিজ়ের দ্বিতীয় গল্প ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’। প্রথম সিজ়নের চেনা চরিত্ররা থাকলেও এই প্রথমবার এই সিরিজ়ে দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন সৌরভ ও দিতিপ্রিয়া রায়। সেই প্রসঙ্গেই সৌরভ জানালেন এ কথা।
“এরকম কোনও চরিত্র আগে তো করিইনি, করব বলে ভাবিওনি,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন সৌরভ। “কঠিন সব রাগরাগিনী নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এত পরিশ্রম কম চরিত্রের জন্যই করতে হয়। ‘তানসেনের তানপুরা’ দেখে ভেবেছিলাম আলাপের চরিত্রটা সাংঘাতিক কঠিন, ভাগ্যিস আমাকে এটা দেওয়া হয়নি। তা এমনই কপাল যে সেরকমই একটা কঠিন চরিত্রে আমাকে কাজ করতে হলো।”
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
এমিনেতই ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ অনেক বেশি জটিল ও গভীর বলে জানালেন সৌরভ। শুধু কাহিনী নয়, সঙ্গীতের দিক থেকেও দর্শককে এবারের সিজ়ন একটা আলাদা অভিজ্ঞতা দেবে বলেই মনে করেন তিনি। “গতবারে ছিল আলাপের অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। এবার তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছে নাদ। আলাপের ঘরানা আনন্দগড় আর নাদ হলো রুদ্রপুরের শ্রেষ্ঠ গায়ক। দুই ঘরানার মধ্যে একটা লড়াই থাকবে। কোনও ছবিতে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী যখন মুখোমুখি হয়, গল্প এমনিই ইন্টারেস্টিং হয়ে যায়। সেরকম নানা চমক থাকছে প্রতি এপিসোডে,” জানালেন সৌরভ।
এই সিজনে তাঁর গলায় গান গেয়েছেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। “গানের দিক থেকে দেখলে কাজটা সত্যিই কঠিন ছিল,” বললেন সৌরভ। “এমন-এমন সব তান শোভন আর জিমূত (রায়) গেয়েছে যাতে লিপ দেওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল। আমাকে আর বিক্রমকে প্রত্যেক পদে এই অসম্ভব কাজটাই করে যেতে হয়েছে।”
বিক্রমের সঙ্গে আগে একটি ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করলেও সেই সময় লকডাউন থাকায় একে অন্যের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ছিল না। এই প্রথম একই ফ্রেমে দুই অভিনেতাকে দেখা যাবে। যদিও বিক্রম তাঁর পুরোনো বন্ধু তবু প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও রেষারেষি কাজ করেছে কি?
“প্রশ্নই ওঠে না,” বললেন রুদ্রপুরের নাদ। “আমি এসব মাথাতেই আনি না। আমি একটা কথাতেই বিশ্বাস করি, সেটা হলো কাজের জায়গায় যদি তুমি তোমার সেরাটা দাও, তবে অন্য কিছু নিয়ে আর না ভাবলেও চলে। আমি সেটাই করি। তাই সহঅভিনেতারা সকলেই আমার বন্ধু। আর কাজের সময় সবাই মিলে আনন্দ করে কাজ করাটাই আমার উদ্দেশ্য থাকে।”
ছবি: গার্গী মজুমদার