জন্মশতবার্ষিকীতে অভিনব সত্যজিৎ প্রতিযোগিতা, লকডাউনের মাঝেই ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’

RBN Web Desk: করোনার আতঙ্কে দেশজুড়ে চলছে লাগাতার লকডাউন। তারই জেরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ক্লাস চালু করছে প্রায় সমস্ত স্কুল। তবে লকডাউনের মাঝেই প্রতি বছরের মতো এবারও  আয়োজিত হতে চলেছে ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্র উৎসব। ২ মে চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। তাই এ বছর তাঁর ছবি নিয়েই হতে চলেছে সিনেমা সংক্রান্ত এই প্রতিযোগিতা। ৪ মে থেকে শুরু হতে চলেছে এ বছরের উৎসব।

দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে কীভাবে হবে এই প্রতিযোগিতা? ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’-এর কর্ণধার কৌশিক চক্রবর্তী জানালেন, “প্রতিবছর জুন-জুলাই থেকে আমাদের শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। তবে এ বছর মে মাসেই আমাদের উৎসব শুরু হবে, কারণ সত্যজিতের জন্মদিন ওই মাসেই।”

এই মুহূর্তে যেহেতু স্কুলে গিয়ে ছোটদের ছবি দেখানো সম্ভব নয়, তাই স্কুলের তরফে ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সত্যজিতের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘সোনার কেল্লা’ ও ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ এবং সন্দীপ রায়ের ‘গুপী বাঘা ফিরে এলো’ ও ‘ফটিকচাঁদ’, এই ছটি ছবি তাদের দেখতে হবে। এরপর সত্যজিৎ ও তাঁর ছবি সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

“আমরা ইতিমধ্যেই সব স্কুলে প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে আমরা সত্যজিৎ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও মতামত সংগ্রহ করব। এই সমস্ত তথ্য নিয়ে তৈরি হবে ‘মহারাজা তোমাকে শতবর্ষে সেলাম’ তথ্যচিত্রটি,” জানালেন কৌশিক।

‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম পর্যায়ের কাজ ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসেই করতে পারবে। স্কুল থেকেই তাদের কাছে কিছু কাজ পাঠানো হবে। কাজগুলি করে তারা অনলাইনের মাধ্যমেই জমা দিতে পারবে। জুলাইয়ের শেষে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা কাজগুলি প্রদর্শিত হবে ও ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হবে। এই কাজের জন্য কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে ১০০টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই স্কুলগুলি থেকে মূল তথ্যচিত্রের জন্য ৫০ জনকে বেছে নেওয়া হবে।

“যে কোনও সংস্কৃতির চর্চাই স্কুল স্তর থেকে হওয়া উচিত। সেটাই ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’-এর মাধ্যমে হতে চলেছে। শুধু ফিল্ম দেখানোই নয়, সেটা নিয়ে ওদের মতো করে ভাবনাচিন্তা করা—কুইজ়, পোস্টার ডিজ়াইন, কোনও চরিত্র নিয়ে আলোচনা—এসবের মাধ্যমে ওরা নিজেদের শিকড় সম্পর্কে জানবে ও বাকিদেরও জানাবে। এর ফলে আগ্রহটা ছড়াবে। ডিজিটাল যুগে এই ধরণের পদক্ষেপ সত্যিই খুব জরুরী,” বললেন সন্দীপ। 

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *