চিতা এসে পা চেটে দিয়েছিল: প্রসেনজিৎ
RBN Web Desk: কাকাবাবু সিরিজ়ের তৃতীয় ছবি ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এর শুটিংয়ের সময় আফ্রিকার জঙ্গলে একটি চিতাবাঘ এসে তাঁর পা চেটে দিয়েছিল। এরকমই নানা দুর্ধর্ষ অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি সাংবাদিকদের শোনালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজ়ের গল্প ‘জঙ্গলের মধ্যে হোটেল’ অবলম্বনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ছবির শুটিংয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম কেনিয়ার মাসাইমারার জঙ্গলে গিয়েছিল পুরো টিম। ছবিতে কাকাবাবুর ভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ এবং সন্তুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিয়ান ভৌমিক। এছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। আছেন সৃজিত নিজেও।
“যখন ‘মিশর রহস্য’র শুটিং করেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল এটাই তখন অবধি করা সবথেকে কঠিন কাজ,” বললেন প্রসেনজিৎ। “তারপর যখন সুইৎজ়ারল্যান্ডে ‘ইয়েতি অভিযান’-এর শুটিং করলাম তখন তো মাথার ওপর সবসময় একটা হেলিকপ্টার চক্কর কাটতো, আমাদের সুরক্ষার জন্যই। সেটা তখন সত্যিই কঠিন লেগেছিল। এবার যখন কেনিয়ায় শুটিং করলাম, সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ওখানে আগে থেকে বলে দিয়েছিল ঘরের বাইরে আওয়াজ শুনলে কেউ যেন না বেরোয়। যে কোনও সময় চিতা বা সিংহ আসতে পারে।”
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
শুটিং শেষ করে পুরো টিম দেশে ফেরার ঠিক পরেরদিনই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। সেই স্মৃতি ছবির শুটিংয়ের সঙ্গে জড়িত সকলের মনে আজও টাটকা। “শুটিং করতে-করতে খবর পেতাম গোটা পৃথিবীটা ক্রমশ অতিমারীর কবলে চলে হচ্ছে। দেশে ফিরতে পারব কিনা সেটা নিয়ে তখন আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন। তবু সেই টেনশনের মধ্যেও কাজটা শেষ করেছিল সৃজিত। যেদিন ফিরলাম সেদিন কলকাতা এয়ারপোর্ট দেখে চিনতে পারিনি,” বললেন প্রসেনজিৎ।
আফ্রিকায় শুটিংয়ের সময় বেশিরভাগ সময়ই তাঁদের সহশিল্পী ছিল কোনও সাপ, চিতাবাঘ বা বাইসন। “একদিন শুটিং করছি। ওই চিতাটাও কাছাকাছি রয়েছে। হঠাৎ ওটা এগিয়ে এসে আমার পা-টা শুঁকে তারপর চেটে দিয়ে চলে গেল। ভিডিও আছে এই ঘটনার। এদিকে স্থানীয় লোকজন বলছে ‘ডোন্ট মুভ’। চিতা পা চেটে দিয়ে যাচ্ছে আর বলে কিনা ডোন্ট মুভ! পরে ওরা বলেছিল যেহেতু আমার হাতে ক্রাচটা ছিল, ওটাকে চিতাবাঘটা বন্দুক ভেবেছিল। ওরা বন্দুক জিনিসটা চেনে, তাই অতজনের মধ্যে আমার কাছে এসে আনুগত্য দেখিয়ে গিয়েছে,” বললেন প্রসেনজিৎ।
৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’।