অনেক আগে থেকেই জানতাম আমি শঙ্কু হব: ধৃতিমান
কলকাতা: অনেক আগে থেকেই জানতেন, সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে ছবি হলে নাম ভূমিকায় তিনিই থাকবেন, বললেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিতের লেখা ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ অবলম্বনে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্ ডোরাডো’ পরিচালনা করেছেন সন্দীপ। ধৃতিমান ছাড়াও এই ছবিতে থাকছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। নকুড়বাবুর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। প্রহ্লাদের চরিত্রে থাকছেন উদয়শঙ্কর পাল।
১৯৭০ সালে সত্যজিতের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করে প্রায় অর্ধশতক অতিক্রান্ত হয়েছে। কখনও কী ইচ্ছা ছিল শঙ্কুর ভূমিকায় অভিনয় করার? “কখন কোন চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসবে সেটা তো আগে থেকে জানা সম্ভব নয়,” সম্প্রতি শহরে এক অনুষ্ঠানে রেডিওবাংলানেট-কে বললেন ধৃতিমান। “এত বছরে বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে হ্যাঁ, শঙ্কুর মতো চরিত্র করতে পারা নিঃসন্দেহে একটা খুব বড় ব্যাপার। জানতাম বলার চেয়ে ভালো কিছুটা আভাস পেয়েছিলাম যে বাবু (সন্দীপ) যদি কখনও যদি শঙ্কু করে, সেই চরিত্রে হয়তো আমিই থাকব। তাই কিছুটা জানা ছিল বলাই যায়।”
আরও পড়ুন: যে মৃত্যু আজও রহস্য
অন্যান্য ছবির সঙ্গে শঙ্কুকে কীভাবে আলাদা করবেন তিনি? “সব চরিত্রই অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে নতুন,” স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সোজাসাপটা উত্তর ধৃতিমানের। “তবে শঙ্কুর চরিত্রে অভিনয় একেবারে আলাদা হয়ে থাকবে। একটা ছবির জন্য ব্রাজ়িলের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো, আমাজ়ন রেইন ফরেস্টে যাওয়া, নানারকম মানুষের মুখোমুখি হওয়া, সবটাই মনে রাখার মতো এবং বেশ কঠিন অভিজ্ঞতা বলা যায়। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।”
যেভাবে ছবিতে মূল কাহিনীর সঙ্গে ভিএফএক্সের ব্যবহার করা হয়েছে তাতে ছবিটা সব বয়সের দর্শকের ভালো লাগবে আশা রাখেন তিনি।
২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্ ডোরাডো’।
ছবি: সবুজ দাস